সাক্ষাৎকার
ভিশন এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব

আর এন পাল ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরএফএল গ্রুপ
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪ | ২৩:৫৪
সমকাল : এ বছর এসির চাহিদা ও বেচাকেনা কেমন?
আর এন পাল : ২০২৩ সালে দেশে ৫ লাখ ৩০ হাজার এসি বিক্রি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৪ সালে বিক্রি হবে সাড়ে ৬ লাখের মতো। প্রতিবছর ১৫-২০ ভাগ হারে বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। মানুষের মধ্যে এসি কেনার চাহিদা অনেক বেড়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি এসি কেনার ক্ষেত্রে ইএমআই, সহজ কিস্তি, ফ্রি ইনস্টলেশনসহ বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছে। এতে গ্রাহকদের পণ্য কেনায় আগ্রহ বাড়ছে।
সমকাল : এসি কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতার কোন কোন বিষয় মাথায় রাখা উচিত?
আর এন পাল : এসি কেনার আগে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। যেমন–আপনার বাসার রুমের আয়তন অনুযায়ী কত টনের এসি প্রয়োজন, তা নির্ধারণ করা। এ ক্ষেত্রে আপনি বাসার যে রুমের জন্য এসি কিনবেন, ওই রুমের আয়তন, জানালার আকার, সরাসরি সূর্যের আলো কতক্ষণ জানালা বা দেয়ালের ওপর পড়ছে, রুমের লাইটিং সিস্টেম কেমন ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে এসির সাইজ নির্ধারণ করা হয়। তার পর দেখবেন, এসি ফ্রি ইনস্টলেশন সুবিধা আছে কিনা। আর বাজেট যদি সীমিত হয়, তবে নন-ইনভার্টার টাইপ এসি বেছে নিতে পারেন। বাজেটে নিয়ে সমস্যা না থাকলে ইনভার্টার টাইপ এসি নিতে পারেন। এ ধরনের এসি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এবং এতে ব্যবহৃত গ্যাস পরিবেশবান্ধব। এ ছাড়া কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখা দরকার। এগুলো হচ্ছে এসির নয়েজ লেভেল কেমন, কম্প্রেসর ১০০ শতাংশ কপার কম্প্রেসর কিনা, ওয়ারেন্টি কত বছর ইত্যাদি।
সমকাল : এসির দাম আগের চেয়ে কি বেড়েছে? বাড়লে এর কারণ কী?
আর এন পাল : বর্তমানে দেশে উৎপাদিত এসি তৈরির কিছু কাঁচামাল এখন পর্যন্ত আমদানি করতে হচ্ছে এবং ডলারের দাম বেশি হওয়ায় এসির দামের ওপর কিছুটা প্রভাব পড়েছে।
সমকাল : আপনাদের এসির বিশেষত্ব কী?
আর এন পাল : ভিশন এসি দিচ্ছে ‘মানি ব্যাক গ্যারান্টি’। এক মাস এসি ব্যবহার করে সন্তুষ্ট না হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত পাবেন গ্রাহক। এ ছাড়া ইনভার্টার এসিতে ১০ বছরের ওয়ারেন্টি তো আছেই। এসি-সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যায় আমরা সাত দিন ২৪ ঘণ্টার সার্ভিস দিয়ে থাকি। শুধু তাই নয়, ভিশন এসি কিনলে ফ্রি ইনস্টলেশন, ডেলিভারি ও প্রয়োজনীয় অ্যাকসেসরিজসহ ৮ হাজার টাকা মূল্যের সার্ভিস পাচ্ছেন সম্পূর্ণ ফ্রি। ভিশন এসিতে বিশুদ্ধ গ্যাস হিসেবে ‘আর ৩২’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যা পরিবেশবান্ধব। আর গুণমান ঠিক রাখার জন্য সুপরিকল্পিত উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং সুদক্ষ ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা উৎপাদন করা হয়ে থাকে। এটি এসির শতভাগ কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করে। ভিশন এসিতে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী অসংখ্য ফিচারস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো ১০০ শতাংশ কপার কন্ডেনসার, ডুয়েল ইনভার্টার প্রযুক্তি, টাইটান গোল্ডেন ফিন টেকনোলজি, ডাস্ট ফ্রি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া ফিল্টার, পরিবেশবান্ধব রেফ্রিজারেন্ট, লো নয়েজ, ভয়েস কন্ট্রোল, ওয়াই-ফাই, টার্ভো কুলিং ফাংশন ইত্যাদি। এ ধরনের নানা বিশেষত্বের কারণে বাজারে আমাদের ব্র্যান্ডের এসির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
সমকাল : সার্বিকভাবে স্থানীয় এসি প্রস্তুতকারকরা কেমন করছেন? পণ্যের মান বৃদ্ধি নিয়ে কী ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে?
আর এন পাল : বর্তমানে সরকার স্থানীয় পর্যায়ে পণ্য উৎপাদনের ওপর বেশ জোর দিচ্ছে। এর ফলে স্থানীয় উদ্যোক্তারা দেশীয়ভাবে এসি উৎপাদনে এগিয়ে আসছেন। কমছে আমদানিনির্ভরতা। এসি উৎপাদনের বেশির ভাগ যন্ত্রাংশ স্থানীয়ভাবে তৈরি হওয়ায় এসির মূল্য এখন ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে। তবে এখনও কাঁচামাল ও সংশ্লিষ্ট কিছু পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে। তবে আশা করা যায়, নিকট ভবিষ্যতে হয়তো সেটাও কমে যাবে।
পণ্যের মান নিয়ে আমরা যথেষ্ট সচেতন। আমাদের ভিশন এসিতে ১০০ শতাংশ কপার টিউব, এভাপোরেটর ও কন্ডেন্সার তৈরিতে ৭ এমএম কপার টিউব ব্যবহার করা হয়। এর কারণে এসির কর্মক্ষমতা সাধারণ এসি থেকে অনেক বেশি হওয়ায় দ্রুত ঠান্ডা হয়। ভিশন এসিতে টাইটান গোল্ডেন ফিন ব্যবহার করা হয়, যা মরিচা প্রতিরোধী ও সাধারণ ফিন থেকে ৩০ শতাংশের বেশি হিট ট্রান্সফার রেট সমৃদ্ধ। তা ছাড়া ভিশন এসিতে রয়েছে ফায়ারপ্রুফ ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল বক্স, যা অনাকাঙ্ক্ষিত আগুন লাগা প্রতিরোধ করে দেয় বাড়তি সুরক্ষা। ভিশন ডুয়াল ইনভার্টার এসিতে বাড়তি বিদ্যুৎ বিলের কোনো ঝামেলা নেই। কারণ এর ইনভার্টারের কল্যাণে সারাদিন এসি চালিয়ে রাখলেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুৎ খরচ হয় সীমিত। তাই ভিশন এসি ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।
- বিষয় :
- এসি