তথ্য সুরক্ষা আইন চূড়ান্ত হবে

আইসিটি ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০
সাইবার জগৎকে নিরাপদ রাখতে হলে ব্যক্তি, পরিবার, প্রাতিষ্ঠানিক ও সমাজ– এই চারটি স্তরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। সাইবার হামলার হাত থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে বাড়তি সচেতনতার বিকল্প নেই। যদি কারও অর্থ বা তথ্য চুরির প্রচেষ্টা থাকে, তাহলে ‘সাইবার অ্যাটাক’ করেই তা সম্ভব। সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে এখনই সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ ভ্যান এন গুয়েন ও আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সাদাত রহমান। প্রতিমন্ত্রী ‘তথ্য আগামী দিনের অর্থ’ উল্লেখ করে বলেন, আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে গঠিত সার্ট থেকে ২৯টি স্পর্শকাতর তথ্য অবকাঠামোর (সিআইআই) সুরক্ষা ও তদারকিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই নিজস্ব (সার্ট) টিম থাকা দরকার। আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখা অসম্ভব। সদ্যই ঘটে যাওয়া সাইবার দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার্টের নির্দেশনা না মানা এবং কারিগরি ত্রুটির কারণে এমনটা ঘটেছে।
হ্যাক নয়, সিস্টেম দুর্বলতার কারণে একটি সরকারি ওয়েবসাইটে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য উন্মোচন হয়েছিল। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় নিয়ন্ত্রণ এবং তথ্যের (ডাটা) সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখে সতর্কতার সঙ্গে ডাটা সুরক্ষা আইন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে বলে জানানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সাক্ষরতা, সাইবার সুরক্ষা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম– তিনটি বিষয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে বেশি সচেতন হতে হবে।