ইত্যাদি

দর্শকপর্বের নিয়ম অনুযায়ী ধারণস্থান মুন্সীগঞ্জকে ঘিরে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মাঝখান থেকে ৪ জন দর্শক নির্বাচন করা হয়। ২য় পর্বে নির্বাচিত দর্শকদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন পূর্ব প্রজন্মের শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ এবং বর্তমান প্রজন্মের শিল্পী বালাম।

এরই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত সমৃদ্ধ জেলা ঝিনাইদহে। মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল এশিয়ার বৃহত্তম কৃষি খামার মহেশপুরের দত্তনগরের ফসলের মাঠের মাঝখানে বটবৃক্ষ চত্বরে। 

আজ শুক্রবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর প্রচার হবে আমাদের চির গৌরবের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ছাত্র জীবনের স্মৃতি বিজড়িত ত্রিশালের দরিরামপুরে ধারণ করা ইত্যাদি’র একটি সংকলিত পর্ব।

বৈশাখী পাঁচফোড়নের এই পর্বে দেখা যাবে পহেলা বৈশাখের দিনে এক দম্পতি পহেলা বৈশাখ নিয়ে তাদের স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসে। এবারের পাঁচফোড়নে স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি বিজরী বরকতউল্লাহ ও ইন্তেখাব দিনার।

এই পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন ছোট পর্দার তারকা অভিনয়শিল্পী তৌসিফ মাহবুব ও আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। তাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন ইত্যাদির নিয়মিত নৃত্যশিল্পীবৃন্দ। গানটির কথা লিখেছেন খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদি। কণ্ঠ দিয়েছেন তানজিনা রুমা, রাজিব ও খেয়া।

গত বছরই প্রথমবার গান গেয়ে সুপারহিট হয়েছেন ছোটপর্দার নায়িকা তাসনিয়া ফারিণ।

প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার এ সময়ে শিক্ষা, চিকিৎসা, খাবার, কেনাকাটা, বিনোদনসহ সর্বত্রই বাড়ছে অনলাইন নির্ভরতা। এ প্ল্যাটফর্মগুলো যেন জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে সচেতনতার অভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে নানাভাবে ফাঁদেও পড়ছেন অনেকে।

প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে আমাদের লোকজ সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে নিয়মিতভাবে ইত্যাদিতে তুলে ধরছেন বরেণ্য নির্মাতা হানিফ সংকেত। শুরুর দিকে বিষয়টি ১০/১২ জন বিদেশির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে কখনও কখনও শতকের ঘরেও পৌঁছে যায়।

বারের আয়োজনটিতে একটি ভিন্ন আঙ্গিকের নাচের আয়োজন রয়েছে। আর এই নাচটিতে অংশগ্রহণ করেছেন এই সময়ের জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী সাফা কবির, সাদিয়া আয়মান, সামিরা খান মাহি ও পারসা ইভানা। তাদের সঙ্গে রয়েছে একদল নৃত্যশিল্পী। নৃত্য পরিচালনা করেছেন ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। 

নব্বই দশক থেকেই শিকড়ের সন্ধানে ইত্যাদি স্টুডিওর চার দেয়াল থেকে বের হয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তুলে ধরছে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, প্রত্ননিদর্শন, আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্রসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।