ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড

বিভিন্ন জালিয়াতিতে সম্পৃক্ততার দায়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের বিতর্কিত এমডি মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে অপসারণ করা হয়েছে। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার এতে অনাপত্তি দিয়েছে।

সাময়িক সময়ের জন্য কোনো দুর্বল ব্যাংক সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মালিকানায় নেওয়া যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি মালিকানার কোনো কোম্পানিতে কোনো ব্যাংকের শেয়ার হস্তান্তরের আদেশ

ইসলামী ব্যাংকে ঋণের বিপরীতে প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণে বড় অঙ্কের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এই ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা। প্রভিশন সংরক্ষণের জন্য ব্যাংকটি ২০ বছর সময় চেয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশের সব ইসলামী ব্যাংকগুলো একীভূত করে বড় দুটো ব্যাংক গড়ে তোলা হবে। ইসলামী ব্যাংকগুলো পুরোদমে নতুনরূপ দেওয়া হবে। একটি বড় ও অনেকগুলো ছোট ছোট ইসলামী ব্যাংক রয়েছে।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের এমডি মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে অবশেষে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। বহিঃনিরীক্ষকের অডিটে বিভিন্ন অনিয়ম–জালিয়াতিতে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

২০১৪ সালে ইসলামী ব্যাংক শরিয়াহভিত্তিক একটি আধুনিক, নিরাপদ ও ব্যয়সাশ্রয়ী ‘খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড’ ব্র্যান্ড নামে ক্রেডিট কার্ড বাজারে নিয়ে আসে। তিন ধরনের খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড রয়েছে–ভিসা/মাস্টারকার্ড গোল্ড, ভিসা/মাস্টারকার্ড প্লাটিনাম, ভিসা সিগনেচার কিংবা মাস্টারকার্ড ওয়ার্ল্ড।

ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের সহজতম

ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী (৪৯) ও ইসলামী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ মনিরুল মাওলাসহ অন্যদের এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাজমুসায়াদাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইসলামী ব্যাংক দখল নয়, মায়ের কোলে ফিরেছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক দখল করেনি জামায়াতে ইসলামী, ডাকাতের বেশে নতুন ডাকাতরা ৫ আগস্টের পর ব্যাংক দখল করতে গিয়েছিল। তারা পালিয়ে এসেছে।

ব্যাংক জালিয়াতিতে এস আলমের প্রধান সহযোগী হিসেবে পরিচিত মুহাম্মদ মনিরুল মওলাকে ইসলামী ব্যাংকে ঢুকতে দিচ্ছেন না কর্মকর্তারা।   এমডি পদে বহাল থেকে এস আলমকে নতুন করে সহায়তার তথ্য ফাঁসের পর কর্মকর্তারা ক্ষেপে যান।