কোপা আমেরিকা

এমন তো কতই হয়, অবসরের পর অনুরোধে ফিরে আসেন কেউ কেউ। ২০১৬ কোপা হেরে মেসিই তো অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরে সমর্থকদের প্রবল আহ্বানে ফিরেও এসেছিলেন। এমনটা কি হতে পারে না ডি মারিয়ার সঙ্গে?

হুয়াংহো যেমন চীনের, তেমনি আর্জেন্টিনার দুঃখ হয়ে উঠেছিলেন স্ট্রাইকাররা। ফাইনালসহ ২০১৪ বিশ্বকাপজুড়ে এ দুঃখ ছিল প্রকট। টানা দুই কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের পেছনেও আর্জেন্টিনার দুঃখের নাম ছিলেন স্ট্রাইকার আগুয়েরো-হিগুয়েইনরা।

কলম্বিয়ার বিপক্ষে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ইনজুরিতে পড়েন আর্জেন্টিনার তারকা লিওনেল মেসি। তাকে  কেউ ফাউল করেননি। প্রেসিং করতে গিয়ে নিজেই পড়ে যান এবং গোড়ালিতে মোচড় লাগে। তাকে বদলি করে তুলে নেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। 

শুরু আর শেষে অন্যরকম এক আবেগ। ভালোবাসার মেলবন্ধন। অশ্রুসিক্ত বিদায়। আকাশি-সাদা জার্সিতে শেষ ম্যাচ বলে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ফাইনালের আগে মাঠে বল নিয়ে আসেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার দুই মেয়ে পিয়া ও মিয়া।

চোট পেয়ে লিওনেল মেসি যখন মাঠ ছাড়েন, তখন স্টেডিয়ামে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের চোখ ছলছল করে উঠেছিল। কোপা আমেরিকা জেতার জন্য যিনি তাদের ভরসা ছিলেন, সেই তিনিই তো মাঠ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন! নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি মেসিও।

ডি মারিয়ার শেষ ম্যাচে শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। মেসিরও এটি শেষ কোপা আমেরিকা। ওটামেন্ডিকেও আরেকটি কোপায় পাওয়ার সম্ভাবনা কম। শিরোপা নিয়ে এক ফ্রেমে তারা।

ইউরোর ফাইনালে উঠেছে স্পেন ও ইংল্যান্ড। রোববার রাত ১টার ম্যাচে স্পেনের তরুণ তারকা লামিন ইয়ামালে চোখ থাকবে ভক্তদের। অন্যদিকে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ও হামেস রদ্রিগেজের কলম্বিয়া সোমবার সকাল ৬টায় খেলবে কোপা আমেরিকার ফাইনাল। 

আর্জেন্টিনার প্রতিটি শিরোপা কিংবা পদকের উদযাপনে লিওনেল মেসিকেই বড় করে দেখানো হয়েছে। বেইজিং অলিম্পিকে স্বর্ণ জেতায় সোনালি চুলের সেই মেসি বেশি আলোচনায় ছিলেন। ব্রাজিলে কোপা আমেরিকা ও কাতারে বিশ্বকাপ জেতা মেসিকেই বড় করে দেখানো হয়েছে। 

টানা দ্বিতীয় কোপা আমেরিকা জয়ের লক্ষ্যে সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ছয়টায় মাঠে নামবে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ওই ম্যাচে মেসির ফিটনেস নিয়ে সংশয়ে আছে এমন খবর ছড়ায়।

সবাই জয় চায়। তবে দু’দলের লড়াইয়ে কখনোই দু’দল সমানভাবে জিততে পারে না। এটাই ফুটবলের নিয়ম। শুধু ফুটবল কেন, খেলাধুলায় এমনটা যুগ যুগ ধরেই হয়ে আসছে। কিন্তু এই জয়ের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকে অনেক সময় মাঠে মেজাজ হারান খেলোয়াড়রা।