গণমাধ্যমকর্মী

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম বলেছেন, সাংবাদিকতা পেশাকে অবশ্যই দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। গণমাধ্যম কর্মীকে বর্জন করতে হবে তার নিজস্ব মতামত প্রচার-প্রকাশ। গণমাধ্যমে নিজস্ব মতামত প্রকাশ করলে গ্রহণযোগ্যতা পায় না। নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতা প্রতিষ্ঠিত করে। মানুষের মনে আস্থা তৈরি হয়। এর মধ্য দিয়ে একটি দেশের গণমাধ্যম পরিণত হয় মানুষের কণ্ঠস্বরে।

স্বাধীন গণমাধ্যম গণতন্ত্রের অন্যতম বড় শক্তি। গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রেখে স্বাধীন সাংবাদিকতা সম্ভব নয়, গণন্ত্রণের বিকাশও সম্ভব নয়। এ বাস্তবতায়  গণমাধ্যম কর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ড. সুজান ভাইজ। 

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সাংবাদিকদের মর্যাদা নিশ্চিত হবে না। স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য প্রয়োজন আর্থিক নিরাপত্তা। ময়মনসিংহ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মঙ্গলবার বিভাগের চার জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, ইতিবাচক পরিবর্তনের নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। তাই জনমত গঠনে গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে অগ্রাধিকার দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডে বিচার হবে। তদন্ত করে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হবে। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় সহায়তা করবে। নতুন করে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর রোববার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকে বিনা অনুমতিতে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) সভাপতি এ. কে. আজাদ বলেছেন, এই সময়ে এ ধরনের পদক্ষেপ ব্যাংক লোপাটকারীদেরই উৎসাহিত করবে।

শর্ট নোটিশে গণমাধ্যমকর্মীকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না– এমন নির্দেশনা দিয়ে সব গণমাধ্যমে চিঠি পাঠাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এ তথ্য জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে অফিসিয়ালি একটি নির্দেশনা দেব। আপাতত কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে কোনো প্রতিষ্ঠান শর্ট নোটিশে চাকরিচ্যুত করতে পারবে না। কমপক্ষে তিন মাসের নোটিশ দিতে হবে।