টেকনাফ স্থলবন্দর

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরের সঙ্গে মিয়ানমারের বাণিজ্যে বন্ধ থাকায় সীমান্তে চোরাচালান বেড়েছে। এতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনকে নিরাপদ রুট হিসেবে টার্গেট করেছে চোরাকারবারিরা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাগরপথে মিয়ানমারের পাচারকালে ৬০০ বস্তা সারসহ দশ পাচারকারীকে আটক করে কোস্ট গার্ড। তার আগের দিন সেন্টমার্টিনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মিয়ানমারে পাচার করেছে ৪০০ বস্তা সিমেন্ট আর ঢেউটিন।

‘আরাকান আর্মির হাত থেকে ১৬ দিন পর পণ্যবাহী কার্গো বোট ঘাটে পৌঁছেছে। সেখানে আমাদের ১৬ শ’ বস্তা শুটকি রয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে ‘ 

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের ভাব পড়েছে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যে। টেকনাফ স্থলবন্দরে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। সীমান্ত এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যেও পড়েছে ভাটা।

মিয়ানমারে বছরখানেক ধরেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশটির বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের মংডু নিয়ন্ত্রণে নেয়। এর পর বাংলাদেশ-মিয়ানমারের প্রায় ২৭০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে তারা।

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে মিয়ানমার থেকে পাচারকালে ১০ কোটি পৌনে ৬ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার কাঠ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।