তাবলিগ জামাত

হবিগঞ্জের বাহুবলে ট্রাকের ধাক্কায় তাবলিগ জামাতের দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আদিত্যপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষ। আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাওলানা জুবায়ের আহমেদের অনুসারীদের ইজতেমা হবে। তারা ইজতেমার জন্য মাঠ প্রস্তুত করছেন। ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইজতেমা আয়োজনের কথা মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের। তবে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ইজতেমা এক সপ্তাহ পেছানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

তাবলিগ জামাতের সাদপন্থিদের গ্রেপ্তার, বিচার ও নিষিদ্ধ করার দাবিতে ১০ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন শুরা–ই–নেজাম বা বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা। তারা বলেন, গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে হামলায় সাদপন্থিরা জড়িত।

রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষকে জমায়েতে বিরত থাকার নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের ও মাওলানা সা’দের অনুসারীরা সারাদেশে চলমান তাবলিগের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।

তাবলিগ জামাতের সাদপন্থী গ্রুপের নেতা জিয়া বিন কাসেমকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। টঙ্গীতে ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় তিনি আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার নগরের ডবলমুরিং থানা এলাকা থেকে জিয়া বিন কাসেমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের একটি টিম।

তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের বিরোধে সংঘর্ষের পর আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

তাবলিগ জামাতের সাদপন্থিদের নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুবায়েরপন্থিরা (শুরায়ে নেজামী)।

তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্ব ও সংঘাত নিরসনের বদলে মাওলানা মামুনুল হক তা আরও উসকে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তাবলিগ জামাতের সাদপন্থী আলেম-ওলামারা। তারা আরও অভিযোগ করেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা একপক্ষীয় আচরণ করছেন।

দিল্লির মেওয়াত এলাকার বিভ্রান্ত মুসলমানদের মধ্যে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে গত শতকের বিশ দশকের দিকে মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভির (রা.) প্রচেষ্টায় চালু হয় তাবলিগ জামাত।

বিশ্ব তাবলিগ জামাতের আমির মাওলানা সাদ কান্দলভীর অনুসারীদেরকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।