বৈষম্য

অন্তর্বর্তী সরকারের নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ‘সর্বক্ষেত্রে সর্বস্তরে নারীর প্রতি বৈষম্য বিলুপ্তি এবং নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের লক্ষ্যে পদক্ষেপ চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গত ১৯ এপ্রিল। প্রতিবেদনের ভূমিকায় বলা হয়েছে, এ কমিশনের প্রধান বিবেচনা হবে নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসন এবং নারী-পুরুষ সমতা অর্জনে পদক্ষেপগুলো চিহ্নিত করা এবং সেগুলো বিভিন্ন মেয়াদে বাস্তবায়নে সুপারিশ তৈরি করা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে সংঘর্ষে আহত হন মো. ফাহিম। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে সেখানে। হাত ও

দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি নারীসমাজ। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়ে চলেছে দিন দিন। তারপরও কর্মক্ষেত্রে নানা বৈষম্যের মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। সেটা নারীর প্রজাতিগত সত্তার কারণেই। নারীকে কর্মক্ষেত্রে আসতে উৎসাহিত করা হয় ঠিকই।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন/ নারী ও কন্যার উন্নয়ন’ একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করে, যা বিশ্বব্যাপী নারী ও কন্যার জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করার আহ্বান জানায়।

দেশের ভেতর উন্নয়ন বঞ্চনা ও বৈষম্য নিয়ে সমালোচনা দীর্ঘদিনের। সমালোচনা সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নতি নেই। বিশেষ করে অঞ্চলভেদে বৈষম্য যে কতটা প্রকট, তা বেরিয়ে এলো বাংলাদেশ পরিসংখ্যান

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে জাতীয়করণের দাবিতে বিগত কয়েক দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মাদ্রাসার শিক্ষকরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার (২৬ জানুয়ারি) তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে গেলে মাদ্রাসার নারী-পুরুষ শিক্ষকরা পুলিশের লাঠিপেটার শিকার হন। নারী শিক্ষকসহ ছয়জন শিক্ষক আহত হয়েছেন। শিক্ষকদের প্রতি এই ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দোষীদের শাস্তিরও দাবি জানাচ্ছি।

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় বৈষম্যবিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজন। তারা বলেছেন, সরকার বৈষম্য দূর করার

জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত ভারতের সমর্থন পেয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারী হয়ে ওঠা এবং গণতন্ত্রকে ‘হত্যা’ করে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় টিকে

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ও রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে সুসংহত রাখার জন্য এ ঘোষণাপত্রটি গৃহীত হবে। 

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলদেশে নারীর ক্ষমতায়ন, সমঅধিকার নিয়ে অনেক ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, নারীর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসার পাশাপাশি পরিবার ও সমাজে একটা অবস্থান তৈরি হয়েছে। তাঁর কথা বলার আগে যেখানে কোনো জায়গা ছিল না, আজ সেখানে তিনি জোরগলায় অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথেও নামতে পারছেন।