ভারতীয় পণ্য

সুনামগঞ্জ সীমান্তে অভিযান চালিয়ে জুন মাসে ১৫ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি।

ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাচালানকৃত ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

নালিতাবাড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম পানিহাটা তালতলার মাঠ এলাকা থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের পণ্য জব্দ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এসব পণ্য ভারত থেকে চোরাই পথে আমদানির সময় জব্দ করে বিজিবির টহল দল। তবে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় চোরাকারবারি চক্রের সদস্যরা।

হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিজিবির অভিযানে প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় কসমেটিকস, চকলেট, ট্যাবলেট, স্যুটের কাপড়সহ বিভিন্ন জাতের থান কাপড় জব্দ করা হয়েছে।

সিলেটে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চোরাই পণ্য ও চিনি উদ্ধার করেছে পুলিশ ও বিজিবি।

‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ কর্মসূচিতে গিয়ে স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি ছুড়ে ফেলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। পরে ওই শাড়িতে আগুন দিয়েছেন সেখানে থাকা নেতাকর্মীরা।

সিলেটে ৮ কোটি টাকা মূল্যের পণ্য জব্দ করা হয়েছে। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং সীমান্তের রাধানগর ও ইসলামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।

সিলেটের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে চার উপজেলার ৮০টি স্থান দিয়ে ভারত থেকে আসছে গরু-মহিষসহ নানা ধরনের পণ্য ও মাদক। এর মধ্যে আছে চিনি, পেঁয়াজ, চা পাতা, শাড়ি, জামা, প্রসাধনসামগ্রী, মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন, জুতা, টায়ার, ওষুধ ও যানবাহনের পার্টস।

বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ন্যূনতম প্রভাব পড়েনি ভারতে। ভারতের রপ্তানি যেমন কমেনি তেমনই ভারতে বাংলাদেশি পর্যটকের ভিড়ও কমেনি। ঈদের আগে কলকাতার নিউমার্কেটে বাংলাদেশিদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন বেচা-বিক্রি আরও বেড়েছে।

বিএনপির ভারতীয় পণ্য বয়কটকে দলটির একটি ‘পলিটিক্যাল স্ট্যান্ট’ হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারতীয় পণ্য বয়কটের যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে, তাতে বিএনপিও সায় দিচ্ছে।