বড়পুকুরিয়ায় চীন থেকে আসা ৩ জন নিবিড় পর্যবেক্ষণে

ফাইল ছবি
দিনাজপুর ও পার্বতীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২০ | ০৭:১৪
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ। ছুটি শেষে চীন থেকে খনিতে ফিরে আসা এক কর্র্মকর্তা ও দুই শ্রমিককে খনি অভ্যন্তরে নিজস্ব হাসপাতালে আলাদাভাবে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ঢাকা থেকে চিকিৎসক এসে তাদের পরীক্ষা করে ভাইরাস পাওয়া না গেলে কাজে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হবে।
জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চীনের এক্সএমসির অধীনে সে দেশের ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেন। চীন থেকে গত ২০ জানুয়ারি ছুটি শেষে ডিজিএম গমোজসহ ২ কর্মচারী খনিতে ফিরে আসেন। আসার পর তাদের কাজে যোগদানের অনুমতি দেয়নি এক্সএমসি। তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
খনির দোভাষি আ. হামিদ জানান, ছুটি শেষে খনিতে ফেরত ৩ চীনা কর্মকর্তা ও শ্রমিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তিনি।
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ জানান, ২০ জানুয়ারি চীন থেকে আসা ৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কয়লা খনির অভ্যন্তরের হাসপাতালে রাখা হয়েছে। সেখানকার চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অবগত করেছেন এবং প্রয়োজন হলে এখান থেকে চিকিৎসক পাঠানো হবে। তবে তাদের মধ্যে এখনও করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। যেহেতু করোনাভাইরাস কারো শরীরে প্রবেশ করলে ১৪ দিন পর লক্ষণ বোঝা যায়, তাই এই সময় পর্যন্ত তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এর মধ্যে লক্ষণ দেখা দিলে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হবে। এজন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম বদরুল আলম বলেন, এই খনিতে ৫ শতাধিক চীনা কাজ করছেন। তবে তারা ছুটিতে গেলে বা ফেরত আসলে খনি কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয় না। বিষয়টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করে। তাই বিষয়টি তার জানা নেই।
- বিষয় :
- বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি
- করোনাভাইরাস