চা-শ্রমিকদের নতুন মজুরি ১৪৫ টাকা, ধর্মঘট প্রত্যাহার

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২২ | ০৪:৪৮ | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২২ | ০৫:১৬
২৫ টাকা বাড়িয়ে চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন চা-শ্রমিকরা।
শনিবার দুপুরে নতুন মজুরি চূড়ান্ত হওয়ার পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত চা-শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল মজুরি বৃদ্ধির পর ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিপেন পাল বলেন, চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসে সরকারের এই প্রস্তাব শ্রমিকরা মেনে নিয়েছেন।
এর আগে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চা-শ্রমিকদের নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয়। এদিন বেলা তিনটায় চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে শ্রম অধিদপ্তর। এই বৈঠক শেষে নিপেন পাল অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবদুস শহীদসহ মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি এবং চা-শ্রমিকদের পক্ষে চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন করে আসছিল বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন। গত আট দিনে সরকার ও মালিকপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকে বসেও মজুরি নিয়ে কোনো সমাধান না হওয়ায় শ্রমিকেরা নিজ নিজ এলাকায় সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল করে যাচ্ছিলেন চা-শ্রমিকরা।
এরই প্রেক্ষিতে দাবি আদায়ে অষ্টম দিনের মতো ধর্মঘট করছিলেন দেশের ২৩১টি চা-বাগানের শ্রমিকরা। ধর্মঘটের অষ্টম দিন আবারও চা-শ্রমিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সরকার। সভায় চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণের পর ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।