খুলনায় বিএনপি নেতারা উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখেছেন, অভিযোগ আ'লীগের

ছবি: সমকাল
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২২ | ০৩:২৫ | আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২২ | ০৩:২৮
খুলনার সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ‘মিথ্যাচার ও উস্কানিমূলক’ বক্তব্য রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন খুলনার আওয়ামী লীগ নেতারা। এ ছাড়া কয়েকটি গণমাধ্যম অসত্য ও অতিরঞ্জিত সংবাদ পরিবেশন করেছে দাবি করেছেন তারা।
রোববার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তারা এই অভিযোগ করেন। বিএনপির ‘মিথ্যাচার, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও নাশকতার’ প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘বিভাগের ১০ জেলা থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। তাদের পথে কোথাও কোন বাধা দেওয়া হয়নি। তবে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় তারা নিজেরাই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এই সমাবেশের আগে এ অঞ্চলের মালিক-শ্রমিকরা নিরাপত্তার স্বার্থে এবং তাদের কিছু দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিবহন বন্ধ রাখে। এর সঙ্গে সরকার বা আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি'র মিথ্যা অভিযোগ,উস্কানি ও নানা উচ্ছৃঙ্খল আচরণের মুখে পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ অনেক ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। তাদের ফাঁদে পা দেয়নি। অবশেষে বিভাগীয় গণসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ায় এটাই প্রমাণিত হয় যে, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। বিরোধী পক্ষকে সভা সমাবেশ করতে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, গণসমাবেশ সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে সোনালী ব্যাংক চত্বর ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। মাইক ব্যবহারসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে অনুমতি দেওয়ায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞানিয়েছে খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপি। এতেই প্রমাণিত হয় গণসমাবেশে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হয়নি। তবে কেন এই মিথ্যাচার করা হলো?
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণমাধ্যম সঠিক সংবাদ পরিবেশন করবে-এটাই জনগণ প্রত্যাশা করে। কিন্তু গণসমাবেশকে কেন্দ্র কোনো কোনো প্রচার মাধ্যমে অতি উৎসাহী ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ পরিবেশন জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার কথা থাকলেও খুলনা আধুনিক রেলওয়ে স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে তারা। নগরীর দৌলতপুর এলাকার নতুন রাস্তা মোড়ে আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা করে ভাঙচুর করা হয়। এতে ২ জন আহত হয়েছেন- যারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ সময়ে একটি মোটর সাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। বিএনপি'র নেতাকর্মীরা নগরীর শিববাড়ী মোড় টাইগার গার্ডেন হোটেলের সামনে ৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৮ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। অথচ এসব সংবাদ অনেক পত্রিকায় আসেনি। একপেশে সংবাদ পরিবেশন করায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি বাবুল রানা, জেলা সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার অধিকারী, সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু, কামরুজ্জামান জামাল, আশরাফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, সৈয়দ আলী, সফিকুর রহমান পলাশ, আসাদুজ্জামান রাসেল প্রমুখ।