সদরপুরে থামছে না অবৈধ বালু উত্তোলন

সদরপুরের চর বিষ্ণুপুর, ঢেউখলী, ভাষাণচর ও আকোটের চর ইউনিয়নে ২০টি ড্রেজার মেশিন বসানো হয়েছে। ছবি: সমকাল
ফরিদপুর অফিস
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০৯ | আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০৯
ফরিদপুরের সদরপুরে থামছে না অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন। প্রভাবশালীরা উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিল, পদ্মার চর ও পুকুর-নালা থেকে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করছেন। ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন অবৈধ হলেও নির্ভয়ে বিরতিহীনভাবে বালু ব্যবসায়ীরা তাদের কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চর বিষ্ণুপুর, ঢেউখলী, ভাষাণচর ও আকোটের চর ইউনিয়নে দিন-রাত চলছে প্রায় ২০টি ড্রেজার। পদ্মার সরকারি সংযোগ খালে ২টি ড্রেজার দিয়ে বালু কাটা হচ্ছে। এতে খালের দুই পাশের মাটি ধসে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে নদীর তীর ও কৃষি জমি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ ব্যক্তি জানান, জরিপের ডাঙ্গী ও তার আশপাশের এলাকায় প্রায় ৭ থেকে ৮টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলে না। প্রশাসনও অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
জানা যায়, উপজেলার এই ড্রেজার চক্র অনেক প্রভাবশালী। এই চক্রের লতা কাজী, মিনা মোল্যা, গণেশ, রফিকসহ কয়েকজন পদ্মার সংযোগ খাল, পদ্মার চর ও ঢেউখালী এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেন।
অন্যদিকে উপজেলার চর বিষ্ণুপুর, ভাষাণচর ও কৃষ্ণপুর এলাকা নুরুজ্জামান, বশির, গিয়স প্রামাণিক, বিল্লাল হোসেন, আমান, শরিফুল, কালাম সরদার, জুলহাস, সহিদ মেম্বর, ইউছুফ বেপারীসহ কয়েকজন নিয়ন্ত্রণ করেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, সবার চোখের সামনে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন চলছে। কৃষি জমি ও নদ-নদী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রশাসন ড্রেজার দিয়ে দ্রুত মাটি কাটা বন্ধ না করলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান মাহমুদ রাসেল সাংবাদিকদের জানান, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন অবৈধ। উপজেলায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে আমি অবগত ছিলাম না। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।