করোনা পরীক্ষার টাকা আত্মসাৎ
খুলনার বর্তমান ও সাবেক সিভিল সার্জনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ফাইল ছবি
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৩ | ১৬:৫৭ | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৩ | ১৬:৫৮
করোনা পরীক্ষার দুই কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় খুলনার বর্তমান সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ ও সাবেক সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বৃহস্পতিবার এ চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন– জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাস (সাময়িক বরখাস্ত), মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) মো. রওশন আলী এবং ক্যাশিয়ার তপতী সরকার।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, করোনা পরীক্ষার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর দুদকের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন শুধু প্রকাশ কুমার দাস। পরে মামলার তদন্তে আরও পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই ছয়জন পরস্পর যোগসাজশে সরকারি রসিদ বইয়ের বাইরে হাসপাতালের বুথে ডুপ্লিকেট রসিদ বই ব্যবহার করে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কভিড-১৯ রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে নমুনার সংখ্যা ফরওয়ার্ডিংয়ে বসিয়ে তা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরটি-পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেন। সে অনুযায়ী ফলাফল পেয়ে তা প্রকাশ ও রোগীদের সরবরাহ করেন। পরে রোগীর সংখ্যা কম দেখিয়ে সে অনুযায়ী ইউজার ফি সরকারি কোষাগারে জমা করেন। বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কডিড-১৯ রোগীর কাছ থেকে আদায় করা মোট চার কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকার মধ্যে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা তারা সরকারি কোষাগারে জমা করেন। বাকি দুই কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা তারা আত্মসাৎ করেন বলে এজাহারে বলা হয়।
- বিষয় :
- সিভিল সার্জন
- দুদক
- টাকা আত্মসাৎ