ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

কাশিমপুরের ৬ কারারক্ষী বদলি

কাশিমপুরের ৬ কারারক্ষী বদলি

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০

যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়ার নেতৃত্বে বন্দি রুনা লায়লাকে নির্যাতন কাণ্ডের জেরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের ৬ কারারক্ষীকে বদলি করা হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার ওবায়দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত রোববার কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল সুজাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই ৬ কারারক্ষীকে ছয়টি পৃথক কারাগারে বদলি করা হয়।

এর মধ্যে রুনা লায়লাকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত কারারক্ষী আলেয়া চৌধুরীকে লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগার, শাম্মী আক্তারকে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগার, সোহেলা আক্তারকে ঝালকাঠি জেলা কারাগার, সেলিনা আক্তারকে শেরপুর জেলা কারাগার, ঝর্ণা আক্তারকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগার ও লাকী খাতুনকে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে বদলি করা হয়েছে।

কারাগার সূত্র জানায়, ছয় কারারক্ষীকে বদলির কারণ সম্পর্কে কারা কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। আদেশ দ্রুত কার্যকরের নির্দেশ থাকায় গতকাল সোমবার সকালেই তাদের নতুন কর্মস্থালে যোগ দিতে পাঠানো হয়েছে।

বিভিন্ন কারণে আলোচিত যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়াকে গ্রেপ্তারের পর কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে রাখা হয়। অভিযোগ আছে, সেখানেও পাপিয়া নানা ধরনের অপরাধ শুরু করেন। এর জন্য কয়েকজন কারারক্ষী ও নারী বন্দিকে নিয়ে কারাগারের ভেতর গড়ে তোলেন অনুগত বাহিনী। পাপিয়া ও তাঁর অনুসারীরা বন্দি অন্য নারীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিতেন। প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর চলত নির্যাতন।

এর মধ্যে নথি চুরির মামলার আসামি শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুনা লায়লাকে গত ১৯ জুন কারাগারের ভেতর পাপিয়া ও তাঁর অনুসারীরা অকথ্য নির্যাতন করেন। পাপিয়ার পক্ষ নিয়ে রুনাকে নির্যাতনে প্রধান কারারক্ষী ফাতেমা আক্তারসহ অন্য কয়েকজন কারারক্ষী সহযোগিতা করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।

এ ঘটনার পর ফাতেমা আক্তারকে গত ২০ জুন শোকজ করে কারা কর্তৃপক্ষ। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় ১ জুলাই তাঁকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয়। ৩ জুলাই ফাতেমার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় একটি বিভাগীয় মামলাও।

আরও পড়ুন

×