দু’সপ্তাহ আগে সৌদি থেকে ফিরে লাশ হলেন নজরুল

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৩ | ১৬:৪৭ | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৩ | ১৬:৪৭
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় নজরুল ইসলাম (৪০) নামে এক প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
মঙ্গলবার উপজেলার কুটি ইউনিয়নের গৌরীপুর গ্রামে ঘর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। দুই সপ্তাহ আগে সৌদি আরব থেকে বাড়ি আসেন তিনি।
নজরুল ইসলাম গৌরীপুর গ্রামের মৃত কুদ্দুস মিয়ার ছেলে। সকাল থেকে নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক বলে জানান স্থানীয়রা।
আজ দুপুরে পুলিশ নজরুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কসবা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান নিহতের ভাই মাসুক মিয়া।
নিহতের আরেক ভাই মালেক মিয়া জানান, তাদের ভাই নজরুল ইসলাম সৌদি আরবে ব্যবসা করত। বিয়ের পর স্ত্রীর কারণে বাড়ি থেকে সামান্য দূরত্বে আলাদা বাড়িতে বসবাস করত। দুই সপ্তাহ আগে বাড়িতে এসে স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়িতে দেওয়া প্রায় ৬০ লাখ টাকা চাওয়া নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। গত কয়েক দিন ধরে তাদের সংসারে ঝগড়া চলছে। আজ সকালে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন গিয়ে দেখতে পায়, খাটের ওপর লাশ পড়ে আছে। পাশে বসে কাঁদছে তার ১১ বছর বয়সী মেয়ে রুনা।
নিহতের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম জানায়, রাতে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে একই গ্রামে বাবার বাড়িতে চলে যান তিনি। সকাল ৮টার সময় মেয়ে রুনা ঘরে এসে বাবার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। লাশ ঝুলানো থাকলেও দুই পা মাটিতে লাগানো ছিল বলে জানায় সে। গলার দড়ি খুলে সে একাই লাশ নামিয়েছে। পরে তার কান্না শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং সবাইকে খবর দেন।
প্রতিবেশী ও স্বজনরা জানান, ছোট এই মেয়ে একাই বাবার ঝুলন্ত লাশ নামানোর বিষয়টি সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। নিহতের গলায়ও ফাঁসির দড়ির কোনো দাগ নেই।
নিহতের মায়ের দাবি, পাওনা টাকা চাওয়ায় তাঁর ছেলেকে স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করেছে। ছেলে তাদের কাছে কয়েক লাখ টাকা পায়। আমি আমার সন্তান হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।