ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার

শ্যালিকার সংসার ফেরাতে তাবিজ পুঁততে গিয়ে ভায়রাকে হত্যা

শ্যালিকার সংসার ফেরাতে তাবিজ পুঁততে গিয়ে ভায়রাকে হত্যা

পাবনা অফিস

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৩ | ০১:০৩ | আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৩ | ০১:০৩

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় তালাকপ্রাপ্ত শ্যালিকা সাজেদা খাতুনের সংসার ফের জোড়া দিতে কবিরাজের দেওয়া তাবিজ পুঁতে রাখতে গিয়েছিলেন দুলাভাই মো. রিমন সরকার। কিন্তু বাড়ির পাশে তাবিজ পুঁতে রাখার সময় রিমনকে দেখে ফেলেন শ্যালিকার সাবেক স্বামী হাসিনুর রহমান হাসু। এ সময় দুজনের হাতাহাতিও হয়। একপর্যায়ে ভায়রা হাসুকে হত্যা করেন রিমন। এই হত্যাকাণ্ড ভিন্নখাতে নিতে হাসুর বাড়িতে সিঁদও কাটেন রিমন।

মঙ্গলবার দুপুরে পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুনসী নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার রিমন সরকার (২৮) ভাঙ্গুড়া উপজেলার রাঙ্গালিয়া পশ্চিমপাড়ার আতিকুর রহমানের ছেলে। আর নিহত হাসিনুর রহমান হাসু (৫৩) উপজেলার চৌবাড়িয়া হারোপাড়ার মৃত সোবাহান সরদারের ছেলে।

তিনি জানান, নিহত হাসুর প্রথম স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় পরিবারের সম্মতিতে তিনি সাজেদা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সম্প্রতি সাজেদাকে তালাক দেন হাসু। কিন্তু সাজেদা স্বামীর সংসারে ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে কবিরাজের দেওয়া তাবিজ সাবেক স্বামী হাসুর বাড়ি পুঁতে রাখতে দুলাভাই রিমন সরকারকে পাঠান তিনি। রিমন সেই তাবিজ হাসুর বাড়িতে পুঁতে রাখতে গিয়ে হাসুর হাতে ধরা পড়েন। হাসু তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বললে তাকে লোহার শাবল দিয়ে পিটিয়ে এবং ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করের রিমন।

এসপি জানান, এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে নিহত হাসুর ঘরে সিঁদ কেটে রাখেন রিমন। যাতে মানুষ মনে করে, চোর চুরি করতে এসে তাকে হত্যা করেছে।

তিনি আরও জানান, একপর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘাতক রিমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী সেই তাবিজ, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত শাবল, দা ও রক্ত মাখা শার্ট ও লুঙ্গি টয়লেটের ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×