ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

দলীয় কার্যালয়ে লাঞ্ছিত

প্রধানমন্ত্রী-স্পিকারের কাছে বিচার চাইলেন এমপি হোসনে আরা

প্রধানমন্ত্রী-স্পিকারের কাছে বিচার চাইলেন এমপি হোসনে আরা

এমপি হোসনে আরা- ফাইল ছবি

জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৩ | ১৯:৩০ | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৩ | ১৯:৩০

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গত ১৭ আগস্ট দলীয় এক নেতার হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন জামালপুর-শেরপুর সংরক্ষিত আসনের এমপি হোসনে আরা। ওই ঘটনার পর সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বিচার না পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে বিচার চেয়ে গত বুধবার লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।

অভিযোগে এমপি হোসনে আরা উল্লেখ করেন, সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে সব রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু তাঁর নিজ এলাকা ইসলামপুরেই তাঁকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এমনকি দলীয় বর্ধিত সভাতেও ডাকা হয় না। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এমপির বিরাগভাজন হওয়ার ভয়ে অনেক নেতাকর্মী তাঁর আয়োজিত ১৫ আগস্টের শোক সভাতেও অংশ নেননি। তারপরও কোনো আমন্ত্রণ ছাড়াই ১৭ আগস্ট ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলা দিবসের আলোচনা সভায় হাজির হন তিনি। রাত ৮টার দিকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভা চলাকালে তুচ্ছ বিষয়ে আলোচনার জেরে উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। তিনি এর মৃদু প্রতিবাদ করলে ওই নেতা এসে তাঁকে চড় মারেন এবং লাঞ্ছিত করেন শারীরিকভাবে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল ওই নেতাকে নিবৃত্ত না করে উল্টো তাঁকেই ধমক দেন। এক পর্যায়ে তিনি দ্রুত সভাস্থল ত্যাগ করেন।

অভিযোগ বিষয়ে এমপি হোসনে আরা সমকালকে বলেন, ‘১৭ আগস্টের ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য প্রতিমন্ত্রী তাঁর অনুগত নেতাদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি করে দেন। যে কমিটির কেউ কেউ তদন্ত শুরুর আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ঘটনাকে ভিত্তিহীন দাবি করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ঘটনার পর সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের কাছে বিচারের আবেদন করেছি। সংসদ সদস্য ছাড়াও আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। আমাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় স্থানীয় এমপি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল দায় এড়াতে পারেন না।’

এ ব্যাপারে কথা বলতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, এমপি হোসনে আরা লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে অভিযোগের যথাযথ তদন্ত করে জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর প্রতিবেদন জমা দেবে।

আরও পড়ুন

×