আদালত পর্যন্ত গড়াল বানারীপাড়া আ’লীগের বিরোধ

বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | ১৫:৪২ | আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | ১৫:৪২
এর আগে গত সোমবার শাহে আলমের বিরুদ্ধে ১৭টি অভিযোগ তুলে উপজেলা আওয়ামী লীগ তাঁকে শোকজ করে। স্থানীয় নেতাদের অনেকের ধারণা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ইশারায় তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে শাহে আলমের মনোনয়ন ঠেকানো এর লক্ষ্য হতে পারে।
শোকজের পর এমপির পক্ষে উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪২ নেতা যৌথ বিবৃতি দেন। সেই বিবৃতিকে জাল বলে দাবি করেছেন মামলার বাদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য উত্তম কুমার দাস।
এদিকে শোকজ, বিবৃতি ও মামলা দায়েরের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। নেতাকর্মী দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছে। এ নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ টি এম মোস্তফা সরদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত লাল কুণ্ডু, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন-উর রশিদ স্বপন ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হুদার বিরুদ্ধে জালিয়াতি-প্রতারণাসহ বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়। বিচারক বিষয়টি তদন্তের জন্য বরিশাল পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী অভিযোগ করেন, এমপির পক্ষে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম ও ফেসবুকে দেওয়া ওই বিবৃতির বিষয়ে তাদের কারও স্বাক্ষর জাল করে, আবার কাউকে ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ টি এম মোস্তফা সরদার বলেন, একজন এমপিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের শোকজ করার এখতিয়ার নেই। এমপির পক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষর দিয়ে পরে কেউ অস্বীকার করলে সেটা তাদের ব্যাপার।
শোকজ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক মাওলাদ হোসেন সানা বলেন, এমপি হিসেবে নয়; বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নম্বর কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে শাহে আলমকে শোকজ করেছেন তারা।
শোকজের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পাল্টা শোকজ করে জেলা আওয়ামী লীগ। সংগঠনের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস স্বাক্ষরিত শোকজে বলা হয়েছে, জেলা কমিটিকে না জানিয়ে কোন ক্ষমতাবলে এমপি শাহে আলমকে শোকজ করা হয়েছে– তার জবাব আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- বিষয় :
- বরিশাল-২
- মো. শাহে আলম
- বিরোধ
- আওয়ামী লীগ
- মামলা
- আদালত
- বরিশাল