পূজার ঢাকিদের অতিথিশালা
৭ বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ

কিশোরগঞ্জে অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে ঢাকিদের অতিথিশালা -সমকাল
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৩ | ০৯:১৭
কটিয়াদীতে প্রায় ৪০০ বছর ধরে জমছে দুর্গাপূজার ঢাকিদের হাট। পূজার কয়েকদিন আগে থেকেই মুন্সীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় দুইশ ঢাকি আর বাঁশিওয়ালা আসেন এ হাটে। তাদের অস্থায়ী আবাসনের জন্য একটি অতিথিশালা নির্মাণকাজ সাত বছর আগে শুরু হলেও এখনও সম্পন্ন হয়নি। ফলে প্রতিবছরই পূজা মৌসুমে ভোগান্তি পোহাতে হয় ঢাকি ও বাঁশিওয়ালাদের।
এবার দুর্গাপূজা উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকি বিনয় দাস, গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাসসহ অনেকেই কটিয়াদীতে এসেছেন। তারা থাকছেন স্থানীয় বিভিন্ন মন্দির আর হোটেলে। এজন্য তাদের বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। ঢাকি ও বাঁশিওয়ালাদের অনেকে দীর্ঘদিন ধরে এ হাটে আসছেন। এতদিনেও তাদের অতিথিশালা নির্মাণ না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন। ঢাকের হাটের সমন্বয়কের দায়িত্বে রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা তপন কুমার ঘোষ। তিনি জানান, হাটে যেসব মণ্ডপের কর্মকর্তারা ঢাকি ভাড়া করতে আসেন তাদের কাছ থেকে কিছু অনুদান রাখা হয়। তারা ৩০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত অনুদান দিয়ে থাকেন। এই তহবিল থেকে বাইরের ঢাকিদের থাকা, খাওয়া, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ করা হয়।
ঢাকিদের অতিথিশালা নির্মাণের জন্য সনাতন সম্প্রদায়ের স্থানীয় নেতা দীলিপ কুমার ঘোষের নেতৃত্বে একটি কমিটি রয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি জানান, অতিথিশালা নির্মাণের জন্য সাবেক এমপি সোহরাব উদ্দিন ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। এই অর্থে ভবনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা যায়নি। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবুজিত সাহা জানান, ভবনের বাকি কাজ সম্পন্নের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা চেয়ে তারা যোগাযোগ করেছেন।
- বিষয় :
- ঢাকিদের হাট
- কটিয়াদী