বিবাদে পক্ষ না নেওয়ায় কলেজছাত্রকে হত্যা

ইয়াসিন আহমেদ শরীফ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | ১৩:৫৩ | আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | ১৩:৫৩
পাশের গ্রামের লোকজনের সঙ্গে ঝামেলা পাকিয়েছিলেন এরশাদ মিয়া। সেই ঝামেলায় তার পক্ষ নিয়ে যায়নি শরীফের পরিবার। এতে ক্ষুব্ধ এরশাদ কলেজছাত্র শরীফকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সিধলা ইউনিয়নের মনাটি গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে ইয়াসিন আহমেদ শরীফ (১৭)। সে নেত্রকোনার পূর্বধলার হাফেজ জিয়াউর রহমান কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের ছাত্র। বুধবার সকালে বাড়ি থেকে নাশতা সেরে বাজারে চুল কাটতে যাচ্ছিল শরফি। মনাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে যেতেই পথরোধ করে তার বুকে ছুরি বসিয়ে দেন এরশাদ মিয়া (৪০)। এরশাদ একই গ্রামের বাসিন্দা। পরে শরীফকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই গৌরীপুর থানা পুলিশের একটি টিম মনাটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত এরশাদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
নিহত শরীফের চাচা এবাদুর রহমান বলেন, ‘এরশাদ খুব উচ্ছৃঙ্খল যুবক। তার যন্ত্রণায় গ্রামবাসী অতিষ্ঠ। আমার ভাতিজাকে ছুরিকাঘাত হত্যা করেছে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।’
দাদি শুক্কুরী বেগম জানান, অভিযুক্ত এরশাদ পাশের দড়িপাড়া এলাকার একজনের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তাদের বাড়ির লোকজন এরশাদের পক্ষ নেয়নি। এ কারণে ১০-১২ দিন আগে তাদের বাড়িঘরেও ভাঙচুর চালায় এরশাদ।
মা শরীফা আক্তার ছেলের জন্য আহাজারি করে বলেন, ‘গরম ভাতটি খাওয়াইয়া দিছি। চুল কাটতো গেছিল পোলাডা। কিন্তু পথের মধ্যেই আমার একমাত্র পোলাডারে শেষ কইর্যাও দিল। আমি তার ফাঁসি চাই।’
পুলিশ জানিয়েছে এরশাদের বিরুদ্ধে মাদক, মারামারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি এলাকায় এরশাদ একজনের সঙ্গে মারামারি করলে তাতে শরীফ যোগ না দেওয়ার ক্ষোভে তাকে হত্যা করা হতে পারে।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) সুমন মিয়া বলেন, হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আগের কিছু ঝামেলার বিষয় সামনে এসেছে। তা আরও তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।