ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

কৃষক বেঁচে থাকলে দেশে খাদ্যের অভাব, দুর্ভিক্ষ হবে না: খাদ্যমন্ত্রী

কৃষক বেঁচে থাকলে দেশে খাদ্যের অভাব, দুর্ভিক্ষ হবে না: খাদ্যমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি: সমকাল

নওগাঁ সংবাদদাতা

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪ | ১৬:৩০

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষকরাই দেশের প্রাণ। কৃষিই মূল চালিকাশক্তি। কৃষিতেই আমাদের সমৃদ্ধি। কৃষক বেঁচে থাকলে এদেশে খাদ্যের অভাব হবে না, দুর্ভিক্ষও হবে না।

আজ সোমবার দুপুরে নিয়ামতপুর সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার কৃষিতে যান্ত্রীকিকরণের পদক্ষেপ নেওয়ায় ফসল উৎপাদনে বিপ্লব ঘটেছে। এখন স্বল্প সময়ে সীমিত জমিতে অধিক ফসল ফলাতে সক্ষম হচ্ছেন কৃষক।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি ও প্রযুক্তি মেলা আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি ও উচ্চফলনশীল জাতের সঙ্গে কৃষককে পরিচিত করা হচ্ছে। কৃষকও সাদরে প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল গ্রহণ করছে। ধান উৎপাদন ও ভোগে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয়। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনেও তৃতীয় স্থানে আমরা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কৃষকবান্ধব সরকার। শেখ হাসিনা কৃষকের বন্ধু। কৃষি প্রণোদনা দিয়ে, ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন।

সমবায়ভিত্তিতে চাষাবাদ হলে কৃষির জমি বাড়বে, উৎপাদনও বাড়বে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে মডেল হিসেবে অনেক স্থানে সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ হচ্ছে। এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে দিন দিন।

ধানের দাম কম বলে অভিযোগ ছিল। সরকার ধানের দাম বাড়িয়েছে। ৩০ টাকার ধানের দাম ৩২ টাকা করেছে সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই। এ নামে চালও নেই। নতুন আইনে বস্তার গায়ে দাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্যত্যয় ঘটলে ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

স্বাধীনতার সময় সাত কোটি মানুষ পান্তার পানি খেয়ে পার করেছি। দেশের মানুষ ১৭ কোটি পার হয়ে গেছে, এখন খাদ্যের অভাব নেই। প্রযুক্তি ও কৃষির সমন্বয়ের ফলে গত বছর এক কেজি চালও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়নি, এ বছরও হবে না বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইমতিয়াজ মোর্শেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ আহমেদ, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হাসান বিপ্লব এবং জেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মো. আবেদ হোসেন মিলন উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. কামরুল হাসান।

 

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত এ মেলায় প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান (স্টল) অংশগ্রহণ করছে। স্টলগুলোতে কৃষি যন্ত্রপাতি ও উন্নত প্রজাতির বিভিন্ন ফসল প্রদর্শন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ১২৫০ জন কৃষকের মাঝে উফশী জাতের ধানের বীজ বিতরণ করা হয়।

 

এর আগে খাদ্যমন্ত্রী নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন

×