ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ভাগাড়ের দুর্গন্ধে সড়কে চলাচলে দুর্ভোগ

ভাগাড়ের দুর্গন্ধে সড়কে চলাচলে দুর্ভোগ

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ওলিপুর-শাহজীবাজার সড়কের পাশে স্থানীয়দের ফেলা ময়লায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ সমকাল

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪ | ২৩:৫৪

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ওলিপুরে সড়কের পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে ভাগাড়। সেখানে ফেলা ময়লার গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে গোটা এলাকায়। এতে সড়কে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।
সড়কের পাশের এই ভাগাড় থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সেখানে। দুর্গন্ধে যানবাহনের চালক, যাত্রীসহ পথচারীরা রয়েছেন কঠিন দুর্ভোগে। 
ওলিপুর থেকে শাহজীবাজার যাওয়ার পথে ডান পাশে দেখা যায় ময়লার স্তূপ। এই সড়কের ওলিপুর থেকে শাহজীবাজার যেতে বাঁ পাশে রয়েছে রঘুনন্দন পাহাড়; আর ডান পাশ দিয়ে বয়ে গেছে রেললাইন। শায়েস্তাগঞ্জ থেকে ওলিপুরে পৌঁছালেই পরিবহনের যাত্রীরা নাকমুখ চেপে ধরেন ময়লার বিকট গন্ধে। ভাগাড়ের পাশ দিয়ে শ্বাস আটকে চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ। ময়লার স্তূপ পেরিয়ে গেলেও দুর্গন্ধ পিছু ছাড়ে না। দীর্ঘদিন ধরেই এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন  সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রউফ জানান, যে জায়গায় ময়লা ফেলা হচ্ছে, সেটি রেলওয়ের জায়গা। বর্তমানে স্থানীয় কয়েকজনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। বাসাবাড়ি ও বাজারের ময়লা এখানে ফেলা হচ্ছে। নান্নু চৌধুরী নামে আরেক ব্যক্তি জানান, গত ৫-৬ বছর ধরে রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় এভাবে ময়লা ফেলা হচ্ছে। উন্মুক্ত স্থানে ময়লা ফেলার কারণে স্থানীয় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকদের নাক-মুখ বন্ধ করে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। এদিকে এলে দুর্গন্ধের জন্য চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়। 

টমটমচালক রফিক মিয়া বলেন, ‘ওলিপুর থেকে ওয়াপদা গেট পর্যন্ত এলাকা দিয়ে শিক্ষার্থীরা আমার গাড়িতে আসা-যাওয়া করে। দুর্গন্ধে সবাই অতিষ্ঠ। এ ব্যাপারে কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়ন সদস্য মোহন মিয়া বলেন, ‘এলাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার মতো কোনো জায়গা নেই। তাই মানুষ রেলের পাশে খালি জায়গায় ময়লা ফেলছে। ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করা এলাকাবাসীর জন্য খুবই দরকার। এভাবে গোটা এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ আদিল জজ মিয়া জানান, ভাগাড়ের বিষয়টি তিনি জানেন। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

×