ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

পরিচয় শনাক্তে ১০ মাস পর তোলা হল তরুণীর লাশ 

পরিচয় শনাক্তে ১০ মাস পর তোলা হল তরুণীর লাশ 

প্রতীকী ছবি

সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪ | ২১:৪৮

ফরিদপুরে সদরপুরে গত বছর হাসি আক্তার নামে নিখোঁজ হওয়া এক তরুণীর লাশ ভেবে এক নারীর মরদেহ দাফন করেন হাসি বেগমের স্বজনরা। পরে নিখোঁজ হওয়া ওই তরুণী বাড়ি ফেরেন। হাসি আক্তার ভেবে দাফন করা ওই নারীর পরিচয় শনাক্তে ১০ মাস পর কবর থেকে মরদেহ তোলা হয়েছে। আজ রোববার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর হাসি আক্তার সদরপুর উপজেলার চরবিষ্ণপুর ইউনিয়নে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার কথা বলে সদরপুর বাজারে আসার উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনাচক্রে, গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আদমপুর এলাকার নাউটানা খালের কচুরিপানার ভেতর থেকে শনাক্তের অযোগ্য একটি অর্ধগলিত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। পরবর্তীতে সেই মরদেহ হাসি আক্তারের বলে দাবি করে তার পরিবার।

 নিখোঁজ হাসি আক্তারের মা সালমা বেগম মরদেহ তার মেয়ে হাসির বলে শনাক্ত করেন। কোমরে একটি তাবিজ ও পায়ের একটি নখ ছোট থাকায় সেটি মেয়ের বলে শনাক্ত করেন হাসির মা। ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শৌলডুবী মদিনাতুল কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

এ ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা থেকে হাসি আক্তার মোবাইল ফোনে তার পরিবারকে বলেন, তিনি জীবিত আছেন এবং ওই মরদেহ দাফনের ৫ দিন পর বাড়ি ফেরেন তিনি। এরপর জনমনে প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে তাহলে কবর দেওয়া ওই মরদেহটি কার?

এরপর ভাঙ্গা থানার মানিকদাহ ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের বাসিন্দা ইয়াদ আলী দাবি করেন, মরদেহটি তার মেয়ের। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ম্যাজিস্ট্রেট ও সদরপুর থানা পুলিশের উপস্থিতিতে রোববার দুপুরে কবর থেকে মরদেহটি তোলা হয়। 

ঘটনাস্থলে যাওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুজ্জামান রিশাদ বলেন, তারা কবর থেকে মরদেহ তুলে সেখান থেকে ডিএনএ টেস্টের জন্য স্যাম্পল সংগ্রহ করেছেন। ফরেনসিক বিভাগের তথ্য পাওয়ার পর জানা যাবে এই অজ্ঞাত পরিচয়ের মরদেহ আসলেই ইয়াদ আলির মেয়ের মরদেহ কী না।

কবর থেকে মরদেহ তোলার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দীপ্ত চক্রবর্তী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) তালাত মাহমুদ শাহানশাহ, ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. মো. ইউনূস আলী, মানিকদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ। 
 

আরও পড়ুন

×