রূপগঞ্জে শিক্ষার্থীদের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই শাখার শিক্ষার্থীদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী আহতের খবর পাওয়া গেছে। শনিবার দিনব্যাপী উপজেলার কাঞ্চন ব্রিজ এলাকায় অবস্থিত স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে ঘটে এ সংঘর্ষের ঘটনা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ৪ তারিখে ক্লাস শেষে আইন বিভাগ, সিএসসি ও ফার্মেসি বিভাগের জিগাতলা এলাকার শিক্ষার্থীরা ভার্সিটির বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় বাসে সিট পাওয়া নিয়ে সিএসসি ও আইন বিভাগের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় পাশে থাকা ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে। পরে দুই বিভাগের মধ্যে তুমুল হাতাহাতি হয়।

পরে ফের ৮ তারিখে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসলে তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালায় ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে আইন বিভাগের ক্লাস বন্ধ করে দেয় ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। গত ৭ দিন অনলাইনে ক্লাস চলে। বিষয়টির সমাধানের কথা বলে শনিবার সকালে আইন বিভাগের অফলাইনে ক্লাস করতে ক্যাম্পাসে আসলে তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

পরে বিষয়টি সমাধানের কথা বলে উপাচার্য ডা. চৌধুরী মফিজুর রহমান আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা ভবনে ডেকে নিয়ে বিচারের নামে তিরস্কার করেন। পরে এখান থেকে বিজয় ভবনে ফেরার পথের গেট আটকে দেয় ফার্মেসি বিভাগ। একপর্যায়ে শিক্ষকদের আশ্বাসে আইন বিভাগ বিজয় ভবনে যাওয়ার পথে আবারও হামলা চালায় ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এতে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ইউনিভার্সিটির পিয়ন আলম হোসেন, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শান্ত, শাওন, রাফি, আরমিনসহ বেশ কয়েকজনকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বার বার হামলার ঘটনায় ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন অভিভাবকরাও। 

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে স্টেট ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার (সাবেক বিগ্রেডিয়ার) জিয়াউল হক জানান, পরিস্থিতি শান্ত আছে। ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান করা হবে। 

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।