চোর সন্দেহে খুঁটিতে বেঁধে যুবককে পিটিয়ে রক্তাক্তের অভিযোগ

খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয় আলমগীর মিয়াকে
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫ | ১৮:২৪
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় আলমগীর মিয়া (২৫) নামে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবককে চোর সন্দেহে খুঁটিতে বেঁধে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের চকসালং গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আলমগীর উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নে রসুলপুর গ্রামের আলতা মিয়ার ছেলে। তিনি কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
জানা যায়, গত সোমবার আলমগীর স্থানীয় নয়াবাজার থেকে পথ হারিয়ে টিলাগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে চলে যান। সেখানে চোর সন্দেহে তাকে আটক করা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য কয়ছর রশীদের উপস্থিতিতে কয়েকজন মিলে খুঁটিতে বেঁধে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তার বাড়ির পাশে তাকে রেখে যায়।
আলমগীরের চাচাতো ভাই আবু রায়হান বলেন, ‘আমার ভাই মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। মঙ্গলবার ভোরে আহত অবস্থায় সে বাড়িতে আসে। সে কোথায় ছিল কিছু বলতে পারছে না। শুধু বলছে, তাকে চোর সন্দেহে খুব মারধর করা হয়েছে। সে অনেকবার অনুরোধ করছে তাকে না মারার জন্য, কিন্তু কেউ তার কথা শোনেনি। এমন মেরেছে যে শরীর থেকে রক্ত পড়ছিল। পরবর্তীতে আমরা জেনেছি, ইউপি সদস্য কয়ছর রশীদের উপস্থিতিতে এলাকার কয়েকজন খুব পিটিয়েছে তাকে। সে বাড়ি ঠিকানা যতটুকু পেরেছে, বলেছে। বাবা-চাচার নাম বলেছে, তার পরও সবাই থাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। এ ঘটনায় আমরা কুলাউড়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য কয়ছর রশীদ বলেন, ‘আমি যাওয়ার আগে লোকজন চোর সন্দেহ হয়তো পিটিয়েছে। আমার এলাকায় কিছুদিন আগে ২টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এজন্য এলাকাবাসী চোর সন্দেহ করেছে। পরে প্রতিবন্ধী বুঝতে পেরে বাড়িতে পাঠিয়েছি।’
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কনক কান্তি সিনহা বলেন, প্রতিবন্ধী আলমগীরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম আপছার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
- বিষয় :
- মৌলভীবাজার
- পিটিয়ে গুরুতর আহত