ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের সামনে শ্রমিক দলের অবস্থান ধর্মঘট

চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের সামনে শ্রমিক দলের অবস্থান ধর্মঘট

রোববার সকালে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের মূল ফটকের সামনে দুই ঘণ্টা অবস্থান ধর্মঘট পালন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বন্দর শাখা। ছবি: মো. রাশেদ

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫ | ১৪:৩৪ | আপডেট: ২৫ মে ২০২৫ | ১৫:০২

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার সরকারি উদ্যোগের প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বন্দর শাখা। রোববার সকালে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের মূল ফটকের সামনে দুই ঘণ্টা এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে এ কর্মসূচি দুপুর ১২টায় শেষ হয়।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, বিদেশি অপারেটর এলে তাদের কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়ে যাবে। অনেক দেশীয় অপারেটর ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি বন্দরের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণও হারিয়ে যাবে। তাই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা। দাবি না মানলে আগামীতে বন্দর ঘেরাও, ধর্মঘট এবং বিভাগীয় সমাবেশসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন তারা।

অবস্থান ধর্মঘটে ‘এনসিটি বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে’, ‘ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে বন্দর পরিচালনা চাই না’, ‘বিদেশি নয়, দেশীয় অপারেটরই যথেষ্ট’-এমন নানান স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানায় শ্রমিক দলের নেতা-কর্মীরা।

কর্মসূচির শুরুতে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বন্দর শ্রমিক দলের (সাবেক সিবিএ) সহ-সম্পাদক মোজাহের হোসেন শওকত। তিনি বলেন, এনসিটি বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হলে দেশের স্বার্থ, শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ এবং বন্দরের কর্তৃত্ব তিনটিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত, যন্ত্রপাতিসহ আধুনিক টার্মিনালটি এখন সফলভাবে দেশীয় অপারেটরদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। বিদেশিদের হাতে দিলে আমরা আমাদের সম্পদ থেকে বঞ্চিত হব।

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সরকার একচেটিয়াভাবে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এতে শ্রমিকদের মতামত নেওয়া হয়নি। এমনকি জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নেও কোনো গণশুনানি বা জনমত যাচাই করা হয়নি।

সহ-সম্পাদক সানোয়ার মিয়া বলেন, এই টার্মিনাল এখন আয়বর্ধক ইউনিট হিসেবে পরিচিত। এখানে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি রয়েছে এবং দক্ষ দেশীয় শ্রমিকদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। তারপরও বিদেশি অপারেটরের প্রয়োজনীয়তা আসলে কার স্বার্থে?

আরও পড়ুন

×