ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

সাবেক ইউপি সদস্যের লোকজনের হামলায় কৃষকদল-ছাত্রদল নেতাসহ আহত ৭

সাবেক ইউপি সদস্যের লোকজনের হামলায় কৃষকদল-ছাত্রদল নেতাসহ আহত ৭

ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৫ | ১৭:৪৫

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক ইউপি সদস্যের লোকজনের অতর্কিত হামলায় কৃষকদল ও ছাত্রদলের নেতাসহ সাতজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম খাজা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক সদস্য।

আহতরা হলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাহাব উদ্দীন রাফেল (৩৬), মহিমাগঞ্জ রাজনৈতিক থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইসমাইল ইসলাম (২৮), জাকির হোসেন (৪৮), সোহেল রানা (২৫), রাজু মিয়া (৫২), বাবু মন্ডল (২৬) ও বুলবুল আহম্মেদ (৪০)। তাদের সবার বাড়ি মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নে।

গতকাল শনিবার ঈদের দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের তারার মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম খাজার ছেলে অনিকের সঙ্গে মহিমাগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইসমাইল হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় কৃষকদল নেতা সাহাব উদ্দীন রাফেলসহ স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দিলে অনিক ওই স্থান ত্যাগ করে। এর কিছুক্ষণ পরেই অনিক ও খাজা তাদের লোকজনসহ এসে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাফেলদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় সাতজন আহত হন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে সোহেল রানার মাথায় ৩৬টি সেলাই, রাজু ও জাকিরের মাথায় সাতটি করে সেলাই এবং বাবু মন্ডলের মাথায় একাধিক সেলাই দেওয়া হয়। এই ঘটনায় অন্যদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় সোহেল রানা ও রাজুকে বগুড়ার টিএমএসএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে কৃষকদল নেতা রাফেলসহ ৪ জন চিকিৎসাধীন।

আহত সাহাব উদ্দীন রাফেল সমকালকে বলেন, ‘আমি ঈদের দিন ভোরে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি মহিমাগঞ্জে আসি। সন্ধ্যায় এলাকার নেতাকর্মী ও আমার এক পুলিশ ভাইসহ বাজারে চা খেতে খেতে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এ সময় মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম খাজার ছেলে অনিক এসে জানান, তার বাবার সঙ্গে ছাত্রদল নেতা ইসমাইল হোসেন খারাপ ব্যবহার করেছে। এ সময় উভয়ের সঙ্গে কথা বলে মীমাংসা করে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর অনিক, তার বাবা রবিউল ইসলাম খাজাসহ তার লোকজন আমার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীসহ আমার ওপর হামলা চালায়। আমি হাসপাতাল থেকে ফিরে গিয়ে থানায় মামলা করবো।’

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বুলবুল ইসলাম জানান, মারামারির বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন

×