চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কার

গুরুদাসপুরের চাপিলা ইউনিয়নে কাঁচা রাস্তাটি সংস্কারে দাবি জানালেও প্রতিকার মেলেনি। এ কারণে নিজেরাই নেমে পড়লেন রাস্তা সংস্কারের কাজে সমকাল
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫ | ০০:০০
২০০ মিটার কাঁচা রাস্তার বিভিন্ন জায়গা ভাঙাচোরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই সেখানে পানি জমে। রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। রাস্তাটি সংস্কারে বরাদ্দ চেয়ে প্রশাসনের কাছে দাবি জানালেও প্রতিকার মেলেনি। তাই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এলেন এলাকাবাসী। নিজেরাই নেমে পড়লেন রাস্তা সংস্কারের কাজে।
রাস্তাটির অবস্থান নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নে। তেলটুপী ব্রিজ থেকে শুরু করে পুঠিমারী দক্ষিণপাড়া মসজিদ পর্যন্ত প্রায় ২০০ মিটার দীর্ঘ এ কাঁচা রাস্তার সংস্কার করেছেন গ্রামবাসী নিজস্ব অর্থায়নে। সরকারি কোনো সহায়তা ছাড়াই গতকাল সোমবার ইট-বালু ফেলে ও স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করেন তারা।
বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই রাস্তা দুর্ভোগের কারণ ছিল। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি হাঁটুসমান কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। বন্ধ
হয়ে যায় যান চলাচল। বেহাল রাস্তার কারণে শিক্ষার্থী, রোগী, বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষকে নিত্যদিন দুর্ভোগ পোহাতে হতো। বহুবার মেরামতের দাবি জানালেও কেউ তাতে কর্ণপাত করেনি। শেষ পর্যন্ত চাঁদা তুলে কাজটি সম্পন্ন করা হলো। এটা প্রয়োজন ছিল।
রাজিব আলী বলেন, সরকারিভাবে রাস্তা হয়নি দেখে সবাই মিলে প্রায় এক লাখ টাকা চাঁদা তুলে ইট-বালু কিনেছি। এক দিনেই সবাই মিলে কাজ করে রাস্তাটি মোটামুটি চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। আশা করি, সরকার এখন অন্তত পাকাকরণের দিকে নজর দেবে।
স্থানীয় কলেজের প্রভাষক মাহাবুব এ খোদা বলেন, ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগে পুরো এলাকায় নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান বলেন, এ উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। আমি এলাকাবাসীর পাশে আছি। উপজেলা প্রকৌশল বিভাগে এ রাস্তাটি পাকাকরণের প্রস্তাব পাঠাব।
- বিষয় :
- সড়ক