দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় ষড়যন্ত্রের শিকার: বেরোবি শিক্ষক মাহমুদুল
হাজিরহাট থানার ওসিকে অপসারণ এবং ঘটনা তদন্তের দাবি

ছবি: সমকাল
বেরোবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫ | ২০:১৭
হত্যা মামলায় জামিনে মুক্তির পর সংবাদ সম্মেলন করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষক মাহমুদুল হক। তিনি অভিযোগ করেন, সাড়ে ছয় বছর শিক্ষকতাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকার কারণেই একটি চক্র তাঁর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেয়াত মামুদ ভবনের নিচতলায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তিনি ওই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
মাহমুদুল হক জানান, বেরোবির সাবেক উপাচার্য ড. কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশে তাঁর ভূমিকা ছিল অগ্রণী। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একটি মহল জাতীয় পতাকা চারকোনা আকৃতি করে ছাপিয়েছিল। তার প্রতিবাদে তিনি জাতীয় পতাকা অবমাননার মামলা করেছিলেন। এরপর থেকেই অজানা চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আসছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ সময় ধরে অধিকার নিয়ে কাজ করছি। মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছি। ফলে সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্রকারী আমার পেছনে তৈরি হয়ে গেছে। তারাই এ মামলাগুলো করাচ্ছে।
তিনি দাবি জানান, দুটি মামলা থেকেই তাঁর নাম প্রত্যাহার করতে হবে। কারণ এটি হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা। হাজিরহাট থানার ওসিকে অপসারণ করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। এ ছাড়া তাঁর গ্রেপ্তারের পেছনে যারা আছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
গত বছরের ২ আগস্ট রংপুর নগরীর হাজিরহাট এলাকায় হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় শমসের নামে এক ব্যক্তির। ১০ মাস পর তাঁর মৃত্যুকে জুলাই অভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ড দাবি করে রংপুর মহানগরীর হাজিরহাট থানায় হত্যা মামলা করে ওই ব্যক্তির পরিবার। গত ১৯ জুন ওই মামলার আসামি হিসেবে শিক্ষক মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে গত রোববার সন্ধ্যায় তিনি জামিনে মুক্ত হন।
- বিষয় :
- বেরোবি