বাগেরহাট
দফায় দফায় সময় বাড়লেও শেষ হয়নি সড়কের কাজ

দশাআনি-রামপাল-মোংলা সড়কে নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। ছবি: সমকাল
বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫ | ০৩:৪৬
কোনো রোগী রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারেন না। গরমের সময় বাড়িঘর, দোকানপাট ধুলোয় ঢেকে যায়। বৃষ্টির সময় কাদাপানিতে জীবন অতিষ্ঠ। এই সড়ক দিয়ে চলাচলে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেছেন আবুল হোসেন নামে এক দোকানি।
দফায় দফায় সময় বাড়লেও বাগেরহাটের দশাআনি-রামপাল-মোংলা সড়কে নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এ কারণে দুর্বিষহ জীবন কাটছে এই সড়কে চলাচলকারী মানুষের। গতকাল বুধবার দুপুরে বাগেরহাট শহরের দশআনি ট্রাফিক মোড় এলাকায় সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
এলাকাবাসীকে বাঁচাতে হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও বাগেরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে আইনের আওতায় আনতে হবে বলে দাবি করেছেন বক্তারা। তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্সের কার্যাদেশ বাতিল করে, নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানান। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
সরেজমিন দেখা যায়, নির্মাণকাজের জন্য বিভিন্ন স্থানে খোঁড়াখুঁড়ি করে রাখা হয়েছে। রাস্তার ওপরে এলোমেলো খোয়া, কিছুদূর পরপর বড় বড় গর্ত। এসব কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি। এতে দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় জেমিস মল্লিক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তা দিয়ে চলাচলের কোনো উপায় নেই। যখন-তখন দুর্ঘটনা ঘটে।
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৩৩ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার বাগেরহাট-রামপাল-মোংলা সড়ক সংস্কারে ৪টি প্যাকেজে ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২০২২ সালের আগস্টে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ৮টি সেতু, ২১টি কালভার্ট, জমি অধিগ্রহণসহ নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৭ কোটি টাকা। প্রথম প্যাকেজে দশআনি থেকে হেলাতলা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ব্রাদার্স। দুই দফা সময় বাড়ানো হলেও প্রতিষ্ঠানটি ১৫ শতাংশ কাজও শেষ করতে পারেনি। গত ২২ মে ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে সড়ক বিভাগ। নতুন ঠিকাদার নিয়োগের জন্য কাজ চলছে বলে জানান সড়ক বিভাগ, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এই সড়কের ৪টি প্যাকেজের তিনটি প্যাকেজের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রথম প্যাকেজের কাজ দুই দফায় সময় বাড়িয়েও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্স; যার কারণে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।
- বিষয় :
- বাগেরহাট