জয়পুরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে ডেকে নিয়ে হত্যা

নিহত রেজাউল করিম কিনা
জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫ | ২০:১২
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রেজাউল করিম কিনাকে (৪০) পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার রেজাউল করিম কিনাকে পিটিয়ে আহত করে তারা। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
রেজাউল করিম দানেজপুর মহল্লার আব্দুল বারিকের ছেলে। তিনি পাঁচবিবি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও সাংগঠনিক সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রেজাউল নিজ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে অনেকের সঙ্গে শত্রুতায় জড়িয়ে পড়েন।
পাঁচবিবি উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এস এম নাহিদ হাসান বলেন, যেটুকু জানতে পেরেছি, বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের সামনে রেজাউল করিম স্থানীয় রহিম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখন পিছন থেকে এসে বীরনগর এলাকার আরিফ নামের এক ছেলে কাঠ দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে রেজাউল করিম গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
নাহিদ হাসান আরও বলেন, ‘স্থানীয় এক ছেলে বীরনগর এলাকার আরিফের বোনকে বিরক্ত করত। বিষয়টি তাঁর বোন আরিফকে জানালে তিনি তা রেজাউল করিমকে জানান। রেজাউল করিম ওই ছেলেকে ডেকে এনে মারধর করেছিলেন। ওই ঘটনার জেরেই আরিফ হয়তো রেজাউল করিমের ওপর হামলা করেছে।
রেজাউলের বাবা আব্দুল বারিক বলেন, বুধবার আমার ছেলেকে ফোন করে বাড়ি থেকে কেউ একজন ডেকে নিয়ে যায়। এর পর আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ডালিম বলেন, রেজাউল করিম হত্যাকাণ্ড কোনো দলীয় বিষয় নয়। আমি শুনেছি, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে তাঁর ওপর হামলা করা হয়েছে।
পাঁচবিবি থানার ওসি মইনুল ইসলাম বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দোষীদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।