কুয়াকাটায় পর্যটকহীন সৈকতে উঠে আসছে বিরল প্রজাতির কচ্ছপ

ছবি: সমকাল
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২০ | ০৫:০৩
করোনাভাইরাসের প্রভাবে এখনও পর্যটকশুন্য সাগর সৈকত কুয়াকাটা। স্বাভাবিক সময়ে বছরজুড়েই পর্যটকদের ভীড় থাকতো এ সৈকতে। সে কারণে সারাবছরই কুয়াকাটা সৈকত থাকতো অপরিচ্ছন্ন। পর্যটকদের কারণে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো সৈকতের প্রাকৃতিক অবয়ব ও জীববৈচিত্র। কিন্ত এখন চিত্র ভিন্ন। নীরব সৈকত ঝাঁকে ঝাঁকে ঘুরে বেড়ায় লাল কাকরা। সাগর থেকে উঠে আসছে জলজ প্রাণী।
বৃহস্পতিবার ভোরে নিরাপদ সৈকতে উঠে আসা বিরল প্রজাতির একটি কচ্ছপ আহত হয়ে আটকে পড়ে সৈকতে। পরে বেলা সাড়ে ১২টায় কচ্ছপটি বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে ফের সাগরে অবমুক্ত করা হয়।
কুয়াকাটা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক রুমন ইমতিয়াজ তুষার জানান, সকালে তিনিসহ কয়েকজন গিয়ে দেখেন বিরল প্রজাতির একটি কচ্ছপ সৈকতে আটকে আছে। তারা কচ্ছপটি উদ্ধার করে প্রথমে কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
সৈকতের পেশাদার ফটোগ্রাফার মো. বাচ্চু বলেন, 'কচ্ছপটির ডান পায়ে আঘাত লেগেছে। সম্ভবত সৈকত রক্ষার জন্য ফেলে রাখা জিও ব্যাগে আটকে পড়ে কচ্ছপটি পায়ে ব্যাথা পেয়েছে। টুরিস্ট পুলিশকে কচ্ছপটি দেওয়ার পর তারা চৌবাচ্চায় রেখেছিলেন।'
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কুয়াকাটা বনবিভাগের বিট অফিসার শামসুল আলম। তিনি জানান, কচ্ছপটি বিরল প্রজাতির। এ জাতের কচ্ছপ ১০০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের হয়। আটকে পড়া কচ্ছপটি বাচ্চা। ওজন সর্বোচ্চ ২৫ কেজি।
কুয়াকাটার জেলে মো. ফোরকান হোসেন জানান, সৈকতের ঝাউবন ও লেবুর বনের বালুতে এক সময় প্রচুর কচ্ছপ আসত ডিম পাড়তে। এখন ঝাউবন নেই। আর লেবুর বনে দোকানপাট উঠে জনচলাচল বেড়ে যাওয়ায় কচ্ছপ আসে না।
পায়ে আঘাত পাওয়ায় চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কচ্ছপটি কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে আবার সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে বলে জানান কলাপাড়া মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম। এসময় বনবিভাগের বিট অফিসার শামসুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।