গৃহবধূকে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ভিডিও ভাইরাল

প্রতীকী ছবি
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২১ | ০৯:০৯
এক গৃহবধূকে অপহরণের পর প্রাইভেটকারে তুলে নির্জন একটি বাড়িতে নিয়ে যান সোহাগ মিয়া। পরে চেতনানাশক খাইয়ে অচেতন করে ওই গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন সোহাগ ও তার বন্ধুরা। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার এমসি বাজার এলাকার ওই ঘরে গৃহবধূকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে সেটা ছেড়ে দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সোহাগ মিয়া মঙ্গলবার বিকেলে এভাবেই ওই গৃহবধূকে অপহরণ ও ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন র্যাবের কাছে। এদিন দুপুরে গাজীপুরের মণিপুর এলাকা থেকে র্যাব -১ এর সদস্যরা সোহাগকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১ গাজীপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ আবদুল্লা আল মামুন জানান, ময়মনসিংহের ভালুকা থানার ভরাডোবা এলাকা থেকে অপহরণের পর ওই গৃহবধূকে গাজীপুরের এমসি বাজার এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যান সোহাগ। গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর রাতের ঘটনা এটা। চেতনানাশক খাওয়ানোর পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় ওই গৃহবধূকে। ভিডিও ধারণ করে সেটা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময় ঘটনার শিকার গৃহবধূ ভালুকার ভরাডোবা এলাকার আল উদ্দিনের ছেলে সোহাগকে প্রধান আসামি করে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানায়, অচেতন করে আবদ্ধ ঘরের ভেতর ফেলে রাখার পরদিন জ্ঞান ফিরলে গৃহবধূ দেখেন তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে আঘাতের চিহ্নসহ রক্তাক্ত জখম রয়েছে। তখন তিনি দরজা খুলে বাইরে যেতে চাইলে সেটি তালাবদ্ধ দেখতে পান। পরবর্তী সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।