ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া

শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া

ছবি: সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৩ | ০০:৩০ | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৩ | ০০:৩০

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং দোয়া মাহফিল হয়েছে। শনিবার সকালে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি আবাহনী মাঠে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে এবং বনানী কবরস্থানে শেখ কামাল ও তাঁর পরিবারবর্গের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্রসচিব (সিনিয়র সচিব) রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। এসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এছাড়া বাদ জোহর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মসজিদে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের রূহের মাগফিরাত কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রসচিব (সিনিয়র সচিব) এবং মন্ত্রণালয়ের সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের কর্মময় জীবন স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। মাত্র ২৬ বছরের ক্ষুদ্র জীবনে এ দেশকে তিনি অনেককিছু দিয়ে গেছেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে, বিশেষ করে সলিমুল্লাহ হলের শিক্ষার্থী হিসেবে, শেখ কামালের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘শেখ কামাল অত্যন্ত ভদ্র ও অমায়িক ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। খেলাধুলার প্রতি তাঁর প্রবল আগ্রহ ছিল। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও তাঁর দুর্দান্ত বিচরণ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তিনি সরাসরি সম্পৃক্ত থাকতেন। তাঁর সুন্দর আচার-ব্যবহারের কারণে সবার কাছে তিনি অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। আর অন্যের সহায়তায় তিনি সবসময় এগিয়ে আসতেন।’

ড. মোমেন আরও বলেন, ‘শেখ কামালের মধ্যে কোনোরকম অহংকার ছিল না। তিনি যে বঙ্গবন্ধুর ছেলে এটা কখনও বলে বেড়াতেন না। রাষ্ট্রপ্রধানের সন্তান হয়েও তাঁর মধ্যে এর বহিঃপ্রকাশ দেখা যেতো না। অগ্রজদের প্রতিও তাঁর শ্রদ্ধাবোধ ছিল অকৃত্রিম।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ কামালের মতো অমায়িক ও সম্ভাবনাময় ব্যক্তিত্বকে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকেরা নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মতো এ ধরনের নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা যায় না। এই হত্যাকাণ্ডে শুধু রাষ্ট্রপ্রধানকে নয়- তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের, আত্মীয়স্বজনদের তিন-তিনটি বাড়ি থেকে খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি ১০ বছরের শিশুপুত্র রাসেলকেও হত্যা করেছে খুনিরা। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড খুঁজে পাওয়া যায় না।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দু:খের বিষয় ১৫ই আগস্টের আত্মস্বীকৃত খুনিদের মধ্যে ৫ জন এখনো বিদেশে পালিয়ে আছে। আদালতের রায় কার্যকর করতে পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।’

দোয়া মাহফিলে শেখ কামালসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শাহাদতবরণকারী বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

আরও পড়ুন

×