প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৭:১৫ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৯:০৮
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশে বলেছেন, বাজারে প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। ক্যাপাসিটির বেশি অবৈধ মজুত করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে দেশের ৬ কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভায় তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মিলারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলাম। তারা বলেছে, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা করে ধান কিনছে, মজুতও করছে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান মোটা চালের ব্যবসা না করলে আমাদের সঙ্গে বসার প্রয়োজন ছিল না। মিলাররা আপনাদের দিকে আঙ্গুল তোলে। মিডিয়াও দোষারোপ করে। আমরা প্রকৃত চিত্র জানতে চাই।’
তিনি বলেন, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ভ্যালু অ্যাড করে বাজারে পণ্য বিক্রি করে। সে কারণে তারা বেশি দামে বাজার থেকে ধান কেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বাজার থেকে অল্প পরিমাণ ধান কিনলেও তার প্রভাব পড়ে খুব বেশি। তখন অন্যরাও বেশি দামে ধান কিনতে বাধ্য হয়। এটা বাজারের জন্য অশুভ বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ব্রান্ডের নামে বাজারে চাল পাওয়া যাচ্ছে যেটাতে এমআরপি লেখা থাকে। আমরা চাই, পাশাপাশি মিলগেটের দামও লেখা থাকুক। বস্তায় মিল গেটের দাম লেখা থাকলে হঠাৎ করে কিংবা অযৌক্তিকভাবে খুচরা বিক্রেতারা দাম বাড়াতে পারবে না।
খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রতিযোগিতামূলকভাবে বাজারে কেউ ধান চাল কিনছে কিনা বা অবৈধ মজুত করছে কিনা তা নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। কেউ ক্যাপাসিটির বাইরে মজুত করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনে মজুত ক্যাপাসিটি রিভিউ করব।
সিটি গ্রুপ, স্কয়ার, প্রাণ আরএফএল, মেঘনা গ্রুপ, এসিআই ও আকিজ এসেনশিয়ালের প্রতিণিধিরা সভায় অংশ নেন। এ সময় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বস্তায় মিল গেটের মূল্য লেখার বিষয়ে সম্মতি জানায়। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ক্যাপাসিটি ও ক্রয়-বিক্রয়ের চিত্র তুলে ধরেন এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাখাওয়াত হোসেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, এফপিএমইউয়ের মহাপরিচালক শহিদুল আলমসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
- বিষয় :
- খাদ্যমন্ত্রী
- সাধন চন্দ্র মজুমদার