ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

টঙ্গী‌তে শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যা মামলার চার্জশিট আদাল‌তে জমা

টঙ্গী‌তে শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যা মামলার চার্জশিট আদাল‌তে জমা

নিহত শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম

গাজীপুর ও টঙ্গী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১৩:২৮

গাজীপুরের টঙ্গীতে শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলামের হত্যার মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। শ‌নিবার রা‌তে তদন্ত শেষে অভিযোগ পত্রে ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে জমা দেওয়া হয়। 

শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। গত বছরের ২৫ জুন সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন তিনি।

গত শনিবার রাত ৮টার দিকে হত্যা মামলার প্রায় ৮ মাস পর অভিযোগপত্রে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করল গাজীপুর শিল্প পুলিশ।

অভিযোগপত্রে মাজাহারুল ইসলাম (৩৫), আকাশ আহম্মেদ ওরফে বাবুল (৪৩), রাসেল মণ্ডল (৩৫), রাইতুল ইসলাম ওরফে রাতুল (১৯), সোহেল রানা (২৩), জুলহাস আলী (২৩), সোহেল হাসান সোহাগ (২৬), শাহীনুল ইসলাম (২১), শাকিল মোল্লা (২৩), মো. আমির হোসেন (৪০), মো. হালিম মিয়া (৪২), মো. রফিকুল ইসলাম (৪৬), জুয়েল মিয়া (২২) ও আবু সালেহর (৩৯) নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

হত্যা মামলার তদন্ত কমিটির প্রধান ও গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমরান আহম্মেদ ব‌লেন, মামলাটির তদন্তভার পেয়ে স্থানীয় তদন্তে ও সাক্ষ্য–প্রমাণের ভিত্তিতে শ্রমিক নেতার হত্যার ঘটনায় স্থানীয় প্রভাবশালী আমির হোসেন ও কারখানার কর্মকর্তা আবু সালেহর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্ত ও যাচাই–বাছাই শেষে অভিযোগপত্রটি অনলাইনে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ২৫ জুন টঙ্গীর সাতাইশ বাগানবাড়ি এলাকার ‘প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেড’ কারখানায় শ্রমিকদের পাওনা টাকা আদায় সংক্রান্ত কাজ করতে যান শহিদুল ও তার সঙ্গীরা। বেতন ও বোনাসের বিষয়ে কথাবার্তা বলে কারখানা থেকে বের হওয়ার পর তিনি হামলার শিকার হন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এর পরদিন (২৬ জুন) টঙ্গী পশ্চিম থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কল্পনা আক্তার। প্রাথমিক অবস্থায় মামলাটির তদন্ত করে টঙ্গী পশ্চিম থানা-পুলিশ। পরে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ জুলাই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় গাজীপুর শিল্প পুলিশকে।

পুলিশের অভিযোগপত্রের বিষয়ে  কল্পনা আক্তার বলেন, আমি মামলাটির বাদী। পুলিশ প্রায় আট মাস পর মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে।

আরও পড়ুন

×