কৃষিপণ্য মজুদ করে কেউ যেন রমজানে সংকট সৃষ্টি না করতে পারে: কৃষিমন্ত্রী

জেলা প্রশাসক সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী। ছবি: সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৪ | ১৭:২৪
মজুতদারী রোধে তদারকি জোরদারের আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, কৃষিপণ্য অবৈধভাবে মজুদ করে অসাধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রমজানসহ সারা বছর যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে তৎপর থাকতে হবে। এ বিষয় জেলা প্রশাসকরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন।
আজ সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সেশনে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পতিত জমিকে আবাদের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এরই মধ্যে চিনিকল, পাটকল, বস্ত্রকল, রেলপথের পতিত জমি চাষের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোনো অনাবাদি জমি আমরা খালি রাখতে চাইনা। পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।’
আবাদি জমির পরিমাণ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অকৃষি কাজে কৃষি জমির ব্যবহার ন্যূনতম পরিমাণ নিশ্চিত করা এবং উর্বর কৃষি জমি যাতে অধিগ্রহণ না করা হয় তা লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া, তিন ফসলি জমি কৃষি কাজের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। কৃষি জমি সংরক্ষণের বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’
কৃষি উৎপাদনের সাফল্য তুলে ধরে আব্দুস শহীদ বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ও বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে চাল উৎপাদন হয়েছে ৩৯১ দশমিক শূন্য ২ লাখ টন। এছাড়া অন্যান্য প্রধান প্রধান ফসলের মধ্যে ১১ দশমিক ৭০ লাখ টন গম, ৬৪ দশমিক ৩১ লাখ টন ভুট্টা ১১০ দশমিক ৮৫ লাখ টন আলু ও ২২৫ দশমিক ৪১ লাখ টন শাক-সবজি উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া সরিষা উৎপাদন হয়েছে ১১ দশমিক ৬৩ লাখ টন ও পেঁয়াজ ৩৪ দশমিক ৫৬ লাখ টন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, কৃষকেরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ করতে হবে। বীজ থেকে চারা না গজালে বা অঙ্কুরোদগম না হলে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হবে।
বিকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরির) প্রতিনিধিদল এবং এশিয়া প্যাসিফিক এসোসিয়েশন অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউশন (আপারি) এর প্রতিনিধিদল পৃথক বৈঠক করে। এছাড়া, ঢাকায় নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হামৌদি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
ইরির হেলদিয়ার রাইস প্রোগ্রামের প্রজেক্ট লিডার রাসেল রেইনকের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে জিএমও গোল্ডেন রাইস জাত অবমুক্তির বিষয়ে কৃষিমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি জানান, ফিলিপাইনে গোল্ডেন রাইস চাষ হচ্ছে। এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। এ সময় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর উপস্থিত ছিলেন।
- বিষয় :
- কৃষিমন্ত্রী
- কৃষিপণ্য