ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

নতুন অনুপ্রবেশকারী বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নতুন অনুপ্রবেশকারী বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে ড. হাছান মাহমুদ। ছবি-সমকাল

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৪ | ২১:৪৮ | আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৪ | ২২:১৫

মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি আক্রমণের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ সদস্য। নতুন করে অনুপ্রবেশ করা এসব সদস্যদের ফেরত পাঠানো হবে। এ বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তবে বেসামরিক নাগরিকদের পুশব্যাক করা হয়েছে বলে গতকাল দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন তিনি।

মিয়ানমারের বিজিপির বাংলাদেশ প্রবেশ নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সোমবার ১৭৭ জন সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এদের সঙ্গে কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও প্রবেশ করেছিল, তাদের পুশব্যাক করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী, সেনা ও বেসামরিক সদস্য এসেছিলেন, আলোচনার মাধ্যমে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। এবারও মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নতুন আসা সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কাজ করছে ঢাকা। মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটপূর্ণ, বিশেষ করে সীমান্ত ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এ জন্যই এ ধরনের পরিস্থিতি বারবার সৃষ্টি হচ্ছে।

মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না– উত্তরে তিনি বলেন, মিয়ানমারের এ বিষয়টি যেহেতু চলমান, তাই তাদের সঙ্গে ক্রমাগত বাংলাদেশ যোগাযোগ রাখছে। প্রয়োজন হলে রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে। তবে এখনও ডাকা হয়নি। মিয়ানমারের বাহিনীর সদস্যরা প্রতিপক্ষের মাধ্যমে আক্রান্ত হলে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, এ ঘটনায় এর থেকে বেশি কিছু নেই।

এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মুহাম্মদ হাশিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের কল্যাণ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বাংলাদেশে বিনিয়োগে ৮ম সর্বোচ্চ দেশ মালয়েশিয়া থেকে আরও বিনিয়োগ, আসিয়ান দেশগুলোর ডায়ালগ পার্টনারশিপের জন্য বাংলাদেশের আবেদনসহ দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি বৈঠকে স্থান পেয়েছে।

'সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা চলছে' সরকারের কঠোর অবস্থানের পরও বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি রাখা হচ্ছে-এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হয়েছে- এটাই আমাদের শক্তি। পাশাপাশি সরকার সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনার একটি পরিকল্পনা করছে, যাতে ব্যবসায়ীরা যা ইচ্ছা তাই করতে না পারে।

এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের মানসিকতা একটি বিষয় উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, 'চট্টগ্রামের বাজারে যে ফুলকপি ২০ টাকা, সেটিই বসতবাড়ির গলিতে ৬০ টাকা হাঁকে ভ্যানে করে বিক্রেতারা। ২০ টাকার কপি বহন খরচসহ ৩০ টাকা হতে পারে কিন্তু ৬০ টাকা চাওয়া চরম অতিরিক্ত। এটি মানসিকতার ব্যাপার।' 

তিনি বলেন, আশা করি পবিত্র রমজানে ব্যবসায়ীদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, তারা অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতা থেকে বিরত থাকবে। 

বিএনপি নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপির নেতারা সকাল-বিকাল সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করে, সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলবে বলে আরা তারা বলছে বাকস্বাধীনতা নেই! আসলে নির্বাচনের পর চরম হতাশার মধ্যে এ সব কথা বলে তারা দলটা টিকিয়ে রাখতে চায় মাত্র, অন্য কিছু নয়।'

আরও পড়ুন

×