ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয়

মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয়

সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। ছবি: সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৪ | ১৬:৪৯ | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪ | ১৭:৩২

মিঠা পানির মাছ আহরণে চীনকে টপকে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। 

মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২৪ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী মিঠা পানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে, বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে পঞ্চম স্থানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে, ক্রাস্টাশিয়ান্স উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম এবং সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনে ১৪তম স্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, গত দুই বছরে মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ইলিশ, দেশীয় প্রজাতির মাছ (পাঙাশ, বোয়াল, আইড় ও অন্যান্য ছোট মাছ) এবং কার্প জাতীয় মাছ। এর মধ্যে সর্বাধিক অবদান রয়েছে ইলিশ। 

বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে সরকার জাটকা সংরক্ষণ, ইলিশ প্রজনন সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন, ইলিশ অভয়াশ্রম ঘোষণা ও ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন হয়েছে ৫ দশমিক ৭১ লাখ টন। 

মৎস্যমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালে মাছ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৬৫ লাখ টন এবং ২০৪১ সালে ৮৫ লাখ টন নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও টেকসই মৎস্য উৎপাদন নিশ্চিতকল্পে সেক্টরাল অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সুনীল অর্থনীতির বিকাশ সাধন ও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে দেশীয় প্রজাতির মাছ সন্দেহাতীতভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলেও জানান তিনি। 

মন্ত্রী বলেন, এ জাতের মাছ বৃদ্ধির জন্য নদী-নালায় পোনা অবমুক্ত করা হয়। কিন্তু কারেন্ট জাল গোটা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। একটা পোনা পর্যন্ত এই জাল থেকে নিষ্কৃতি পায় না। দেশে আমরা এই জাল উৎপাদন নিষিদ্ধ করেছি। কিন্তু জাল উৎপাদনকারীরা আদালতে গেছে। তিনি আরও বলেন, যে সব মাছ আমাদের দেশ থেকে হারিয়ে গেছে, আগামীতে তা আবার খালে-বিলে দেখতে পাবেন।

আরও পড়ুন

×