৬ দফা দাবিতে শহীদ মিনারে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অবস্থান কর্মসূচি

জেলবন্দীদের মুক্তি ও চাকরিচ্যুত সবাইকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে চাকরিতে পুনর্বহালসহ ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিডিআর সদস্যরা
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১২:৩৯ | আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৩:০১
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে জেলবন্দীদের মুক্তি ও চাকরিচ্যুত সবাইকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে চাকরিতে পুনর্বহালসহ ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিডিআর সদস্যরা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মসূচির প্রথম দিনে শহীদ মিনারে অবস্থান নেন বিডিআর সদস্যরা।
এসময় তাদের ‘বিজিবি না বিডিআর, বিডিআর বিডিআর’, ‘দেশপ্রেমিক বিডিআর, সীমান্তে যাবে আরেকবার’, ‘বিডিআরের ঠিকানা, পিলখানা পিলখানা’সহ একাধিক স্লোগান দিতে দেখা যায়।
কর্মসূচিতে বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যানার নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন বিডিআর সদস্যরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
তাদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো-
১. পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসব বিডিআর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের সবাইকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে এবং ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
২. ইতোমধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত এবং সাজা শেষ হওয়া জেলবন্দি বিডিআর সদস্যদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রহসনের বিস্ফোরক মামলা বাতিল করা।
৩. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ব্যতীত শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) নং ধারা বাদ দিতে হবে। একইসঙ্গে স্বাধীন তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে অন্যায়ভাবে দণ্ডিত সর্বপ্রকার নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদঘাটন, মূল ষড়যন্ত্রকারী, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা।
৪. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ হওয়া ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ জন বিডিআর সদস্যসহ মোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে জেলের ভেতর মারা যাওয়া প্রত্যেক বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উম্মোচন করতে হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ী সবাইকে বিচারের আওতায় আনা।
৫. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনা।
৬. পিলখানার হত্যাকাণ্ডে সব শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে হবে এবং শহীদ পরিবারের সর্বপ্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।