ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

ঢামেকে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, জরুরি বিভাগ বন্ধ

ঢামেকে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, জরুরি বিভাগ বন্ধ

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টারে তালা ঝুলতে দেখা যায়। ছবি: সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১০:৩১ | আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১২:৫৭

ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) মারধর ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের ঘটনায় সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। রোববার সকাল থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন তারা।

এদিকে ঢামেকের নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা বলেন, আমরা শনিবার ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। এখনও সময় শেষ হয়নি। এখন আমরা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। তবে আজ দুপুর ২টায় হামলাকারীদের শনাক্ত, বিচার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করবো। এরপর আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে সমকালকে বলেন, ঘটনা শুনেছি। জরুরি কাজে বাইরে আছি। হাসপাতালে গিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবো।

শনিবার নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চিকিৎসকরা দোষীদের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় ২৪ ঘণ্টা পর তারা কর্মবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দেন। কিন্তু আল্টিমেটামের সময় শেষ হওয়ার আগেই কর্মবিরতিতে যান চিকিৎসকরা।

রোববার সকাল থেকেই হাসপাতালে সব ধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া। সমকালকে তিনি বলেন, শনিবার খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হলে ওই ঘটনায় আহত এক গ্রুপ চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেলে আসে। পরে অপর একটি গ্রুপ চাপাতি নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন। একপর্যায়ে চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়। আটকরা হলেন- বাপি মিয়া (২৪), আদিব (২৩), নাসির (২৫) ও নাবিল (২৭)। তারা সবাই রাজধানীর খিলগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা।

বাচ্চু মিয়া আরও বলেন, ঢাকা মেডিকেলে নিরাপত্তা শঙ্কায় জরুরি বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। শনিবার রাতে তারা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। কিন্তু আল্টিমেটামের সময় শেষ হওয়ার আগেই কর্মবিরতিতে যান চিকিৎসকরা। 

প্রসঙ্গত, রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার আহসানুল হক দীপ্ত (২৩) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) ছাত্র ছিলেন। ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে ঢামেকের এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ঢামেকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করে।

আরও পড়ুন

×