ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

নারী কর্মী নিষিদ্ধের পর আফগানিস্তানে কার্যক্রম স্থগিত করল বিদেশি এনজিও

নারী কর্মী নিষিদ্ধের পর আফগানিস্তানে কার্যক্রম স্থগিত করল বিদেশি এনজিও

আফগানিস্তানে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ছবি: টাইমস অব ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৭:৩৩ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৭:৩৮

তালেবান দেশি-বিদেশি এনজিওতে নারীদের কাজ করা নিষিদ্ধের পর আফগানিস্তানে তিনটি প্রধান এনজিও তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে। এক যৌথ বিবৃতিতে কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (এনআরসি) এবং সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, নারী কর্মী ছাড়া তাদের কাজ করা সম্ভব না।

বিবৃতিতে তারা দাবি করেছে, নারীদের কাজ করার অধিকার দিতে হবে। আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্রমাগত নারীদের অধিকার হরণ করছে। খবর বিবিসির

এর আগে হিজাব না পরার কারণ দেখিয়ে দেশি-বিদেশি এনজিওতে নারীদের কাজ করা নিষিদ্ধ করে তালেবান। এমনকি এই নির্দেশ লঙ্ঘন করা হলে তাদের লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দেওয়া হয়।

তালেবান তাদের ব্যাখ্যায় জানিয়েছে, এনজিও কর্মীরা হিজাব না পরে ইসলামী শরিয়ার পোশাকের আইন ভঙ্গ করছে।

এদিকে শনিবার তালেবানের জারি করা এই নির্দেশকে মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

তালেবানের এই নির্দেশের কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়।

আফগানিস্তানের এক নারী এনজিও কর্মী বলেছেন, 'আমি যদি কাজ করতে যেতে না পারি, আমার পরিবারে খরচ কে দেবে?’

আরেকজন এই নির্দেশকে ‘হতাশাজনক’ জানিয়ে বলছেন, তিনি তালেবানের পোশাকের আইন মেনেই কাজ করতেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এর ফলে লাখ লাখ মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা কার্যক্রম ব্যাহত হবে।

সেভ দ্যা চিলড্রেনের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, তারা এ নিয়ে তালেবান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবে। কিন্তু নারীদের যদি কাজ করতে দেয়া না হয়, তাহলে হয়তো তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে ফেলতে হবে।

বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাজে নারী ও শিশুদের কাছে সেবা পৌঁছানোর জন্য নারী কর্মী থাকা অত্যাবশ্যক বলেছেন, কেয়ার ইন্টারন্যাশনালের একজন কর্মকর্তা মেলিসা কর্নে।

এ সপ্তাহেই আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সে দেশের নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নিষিদ্ধ করে এবং প্রাইভেট টিউশন কেন্দ্রগুলোর প্রতি আদেশ দেয়, যেন তারা কোন ছাত্রীকে শিক্ষাদান না করে। সেই নির্দেশও ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

তবে মিশরের আল আজহার মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম বলছেন, আফগানিস্তানে মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত তালিবান নিয়েছে-তা ইসলামী শরিয়া আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। 

আরও পড়ুন

×