ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

ব্যাটিং নিয়ে প্রচণ্ড হতাশ লিটন

ব্যাটিং নিয়ে প্রচণ্ড হতাশ লিটন

ছবি- সংগৃহীত

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫ | ১২:৩০

এমনিতেই তিনি ঠোঁটকাটা, কথাবার্তায় রাখঢাক কম। তার ওপর আবার বাংলাদেশের এমন পারফরম্যান্সে নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘রমিজ স্পিকস’-এ হিট বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তাই লাহোরে পাকিস্তানের কাছে দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৭ রানে লিটনরা হারার পর রমিজ রাজার খোঁচা। 

‘বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ ভুল করে, দ্বিতীয় ম্যাচে আরও বেশি ভুল করে। আর তৃতীয় ম্যাচে তারা নতুন নতুন ভুল করে। ভুল করাটা তাদের রুটিন হয়ে গেছে।’ রমিজ রাজার কথা ধরলে আজ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে লিটনদের ‘নতুন নতুন ভুল’ করার কথা! আর হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর জন্য যে মানসিক জোর দরকার, সেটাও বোধহয় হারিয়ে ফেলেছেন লিটনরা। অন্তত শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচ হারার পর ব্রডকাস্ট ক্যামেরার সামনে লিটন দলের ব্যাটিং নিয়ে যতটা হতাশা প্রকাশ করেছেন, তারপর খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার জায়গা নেই। ‘এই উইকেটে ২০০ রান তাড়া করতে চাইব, কিন্তু ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা সেটা করতে পারিনি।’

এদিন তানজিদ তামিমের শুরুটা বিধ্বংসী হলেও পরে ১০ রানের মধ্যেই চার উইকেট পড়ে যায়। যেখানে তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে সিঙ্গেলস নিতে গিয়ে লিটনের সঙ্গে বোঝাপড়ার সমস্যা দেখা দেয়। অফফর্মে থাকা হৃদয় নিশ্চিত কয়েকটি সিঙ্গেলস নিতে নিরুৎসাহিত করলে বিরক্ত হতে দেখা যায় লিটনকে। তারপর পরই বাজে শট খেলে আউট হয়ে যান লিটন। এটা কি হৃদয়ের সঙ্গে মেজাজ হারানোর কারণে? জিজ্ঞাসা করেছিলেন ব্রডকাস্ট সাংবাদিক। উত্তরে তা এড়িয়ে যান। তবে দলের ব্যাটিং নিয়ে হতাশা লুকাতে পারেননি তিনি। ‘না, এমন নয়। আসলে ক্রিকেটে আপনার মৌলিক জিনিসগুলো করতেই হবে। এটা (রান নেওয়া) তো মৌলিক ব্যাপার। তবে এই মুহূর্তে আমরা ব্যাটিংয়ের মৌলিক কাজগুলো অনুসরণ করছি না। আমাদের ব্যাক টু ব্যাক দুটি উইকেট দেখলে বোঝা যাবে আমরা দুটি রান নিইনি। আমি এটাকে দোষ দিচ্ছি না। তবে আমাদের এদিকে মনোযোগ দিতেই হবে।’ 

অধিনায়ক লিটন তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লের কয়েকটি ওভার খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে প্রত্যাশা মতো ব্যাটিং করতে পারছেন না তিনি। ৬, ৪৮, ১৪, ৪০– পাকিস্তান ও আরব আমিরাতের বিপক্ষে শেষ চারটি ম্যাচে ১০৮ রান করেছেন তিনি। সেখানে চার নম্বরে নামা তাওহীদ হৃদয় করেছেন ৬৭ রান। ঠিক এখানে এসেই বোধহয় টি২০ ম্যাচে ব্যাটিংয়ের মৌলিক কিছু ব্যাপার ভুলে যাচ্ছেন ব্যাটাররা। শেষ চার ম্যাচে ৬ থেকে ১০ ওভারের মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসে রান এসেছে যথাক্রমে ২৪, ৩০, ২০, ৩৪। যে সময়টাতে সিঙ্গেলস আর ডাবলসের সঙ্গে বাউন্ডারি হাঁকানো দরকার, সে সময় তাওহীদ হৃদয় গুটিয়ে থাকছেন। 

পাওয়ার প্লেতে রানের গতি নয়-দশের কাছাকাছি চলে যাওয়ার পর ইনিংসের পরবর্তী পাঁচটি ওভারে এসে ভীষণভাবে তা শ্লথ হয়ে যাচ্ছে। যার চাপ পড়ছে জাকের, শামীম, রিশাদের ওপর। ঠিক এখানেই প্রতিপক্ষের চেয়ে ভীষণভাবে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। তবে লোয়ার অর্ডারে তানজিম সাকিব, হাসান মাহমুদরা কিন্তু বড় বড় শট খেলে চেষ্টা করছেন মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা ঢাকতে। দ্বিতীয় ম্যাচে যেমন ৩১ বলে ৫০ রান করে তিন-তিনটি রেকর্ড গড়েছেন সাকিব। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে ৯ নম্বর ব্যাটার হিসেবে প্রথম কারও ফিফটি এবং সর্বাধিক পাঁচটি ছক্কা মেরেছেন। তিনিও বলেছেন ব্যাটসম্যানদের আরও দায়িত্ব নিতে হবে। ‘ব্যাটাররা দায়িত্বশীল ব্যাটিং করলে এই উইকেটে ২০০ রান করা সম্ভব। জুটি গড়তে বেশি মনোযোগ দিতে হবে।’ 

আরও পড়ুন

×