অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু

দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের স্থলবেষ্টিত দেশ নর্থ মেসিডোনিয়ার কোচানি শহরের একটি নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছেন।

তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বোলু পার্বত্য এলাকায় গ্র্যান্ড কারতাল হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৭৬ জন।

সিরাজগঞ্জ-২ (সদর ও কামারখন্দ) আসনের সাবেক এমপি ড. জান্নাত-আরা তালুকদার হেনরীর বাড়িতে অগ্নীদগ্ধ আরেকটি লাশের পরিচয় মিলেছে। তিনি গজারিয়ার অটোরিকশা চালক জাহাঙ্গীর আলম (৪৬)। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বুধবার (৭ আগস্ট ) তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম নগরের অলঙ্কার মোড়ের একটি আবাসিক হোটেলে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এ সময় ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে আব্দুল বারেক (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

নোয়াখালীর হাতিয়ায় বসতঘরে আগুন লেগে ঘুমন্ত অবস্থায় ললিতা বালা দাস (৮০) নামে এক নারীর প্রাণ গেছে। গতকাল শনিবার ভোরে হাতিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড সার্বজনীন কালীমন্দিরের পাশে ঘটে এ দুর্ঘটনা। 

পুরান ঢাকার নিমতলী, চকবাজারের চুড়িহাট্টা, বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনেও সংশ্লিষ্টরা তৎপরতা শুরু করলেও কিছুদিন পর তা থেমে যায়। এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি, বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করলেও তা মানা হয়নি। তবে কি শেষ হবে না আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর মিছিল?

চেয়ার-টেবিল পুড়ে অঙ্গার। ছাই হয়ে গেছে আসবাব। গ্যাসের সিলিন্ডার পড়ে আছে এলোমেলো। কোনোটির গায়ে ধোঁয়ার কালো আস্তরণ। কিছু সিলিন্ডার আবার পুরোপুরি অক্ষত। ফ্রিজের ভেতরে কোমল পানীয় ও বোরহানির বোতলগুলো দগ্ধ হয়ে কুঁকড়ে গেছে।

‘আমার মেয়েকে এনে দাও, আমার সোনা অনেক কষ্ট পাচ্ছে গো। আমার সন্তান আমার কাছে না দিয়ে, কোনখানে রাখছে গো। আমার মেয়েকে আমার কাছে দাও। আমার কলিজা, বুকটা ঠাণ্ডা করে দাও। ওরে আল্লাহ আমার সোনা চানকে এনে দাও, আল্লাহ গো।’ 

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল যে ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, সেটিতে রেস্তোরাঁ করার অনুমোদন ছিল না। ভবনটি শুধু অফিসকক্ষ হিসেবে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরো এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে