জয় বাংলা

গত ২৬ মার্চ জাতীয় স্মৃতিসৌধে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার কারণে কয়েক জনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশে জয় বাংলা স্লোগান কোনো দলের নয়, ব্যক্তির নয় গোষ্ঠীর নয়।

পিরোজপুরের নেছারাবাদে (স্বরূপকাঠী) ২৫ মার্চের গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে তোপের মুখে পড়েছেন কাজী সাখাওয়াত হেসেন নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা।

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির সামনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় এক নারীসহ দুজনকে মারধর করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। প্রথমে এক ব্যক্তি সেখানে জয় বাংলা স্লোগান দিলে উপস্থিত বেশ কয়েকজন তাকে বেধড়ক মারধর করেন।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের কর্মচারী লীগের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহানকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় শোকজ করা হয়েছে।

বাড়ির দেয়ালে লিখনের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা প্রতিনিধি ফা-আরদ্বীন রহমানকে (১৮) হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌর শহরের সরকারি লাল বিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চিত্রাংকনের ওপর ‘জয় বাংলা’ ও ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ লেখার প্রতিবাদে রোববার এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

বাগেরহাটের মোংলায় গভীর রাতে বিভিন্ন এলাকায় দেয়ালে দেয়ালে লেখা হয়েছে ‘জয় বাংলা’। সোমবার দিবাগত গভীর রাতে মুখোশ পরে কে বা কারা এ স্লোগান লেখেন। পৌরসভার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, মুখোশ পরা এক যুবক স্প্রে পেইন্ট বোতল দিয়ে এ স্লোগান লিখে দ্রুত সটকে পড়েন। 

ফেনী কেন্দ্রীয় বড় মসজিদের নামাজের সময়সূচির ডিজিটাল বিলবোর্ডের স্ক্রিনে ভেসে উঠল আওয়ামী লীগ আবারও ফিরবে, জয় বাংলা। এই লেখাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয় ছাত্র-জনতা একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। 

নেত্রকোণা থেকে খেজুরের রস খেতে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় যান ১৫ যুবক। খেজুরের রস খাওয়ার সময় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’সহ শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দিয়েছেন তারা। শুক্রবার এ ঘটনায় ওই ১৫ যুবককে ধরে পুলিশে দিয়েছেন এলাকাবাসী। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।