ট্রেনে কেটে মৃত্যু

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত তিন তরুণ স্টেশনে স্টেশনে ঘুরে পরিত্যক্ত বিভিন্ন জিনিসপত্র কুড়াত। তাদের একজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে রেলওয়ে পুলিশ, নাম সাইফুল ইসলাম (১৮)।

শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে চঞ্চল চৌধুরীর ও রিপন হোসেন কোনাবাড়ি থেকে বরাবহ গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথে খোলাপাড়া রেললাইন পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী একটি ট্রেন তাদের চাপা দেয়। এতে রেললাইনে তাদের দেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়। পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

সিলেট রেলস্টেশনের পাশেই দক্ষিণ সুরমার মোমিনখলা এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন রেল বিভাগের এক কর্মচারী।

হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়নের কাটিরহাট রেল স্টেশনের দক্ষিণ খন্ডলিয়ার ঘাটা এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে ৪ টুকরো হয় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি।

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ট্রেনে কাটাপড়ে বুদু মিঞা (৪০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ট্রেনের ধাক্কায় শাহনাজ বেগম নামে এক গৃহবধূ ও তাঁর ছেলে শোয়াইব (৫) নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার বাগজানা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রাজশাহী নগরীতে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত পরিচয় এক বৃদ্ধের (৬০) মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নগরীর বুধপাড়া ফ্লাইওভার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে রাবেয়া (১০) নামের এক শিশুর পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে খিদমাহ হাসপাতালের সামনের রেল লাইনে এ ঘটনা ঘটে। সে মায়ের চিকিৎসার জন্য গ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছিল।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ট্রেনে কাটা পড়ে রানা শেখ (১৭) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোর ৫ টার দিকে উপজেলার বাটিকামারা জিজাবাগান এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়।

রতনের পরিবারের সদস্যরা জানান, স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে কর্মস্থল ঢাকায় যাচ্ছিলেন রতন। বিকেল ৪টার দিকে আদগ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বাসে ওঠেন তারা।