মাতারবাড়ী

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িকে উৎপাদন ও রপ্তানি নির্ভর শীর্ষ মুক্তবাণিজ্য অঞ্চল হিসেবে রূপান্তরে গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ জন্য মাতারবাড়িতে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো দ্রুত উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) আওতাধীন একটি প্রকল্প। ফলে ধারণা করা যায়, ওই প্রকল্পের মেয়াদ শেষে এটি সিপিএ’র আওতাধীন স্থায়ী কাঠামোর সঙ্গে একীভূত হবে। কথা হচ্ছে– অদক্ষতা, দীর্ঘসূত্রতা ও বিশৃঙ্খলার দু্র্নামঘেরা সিপিএ কি পারবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরকে ওইসব দুর্নাম থেকে মুক্ত রেখে আন্তর্জাতিক মান ও দক্ষতা অনুযায়ী পরিচালনা করতে?

মাতারবাড়ী বন্দর প্রকল্পের প্রথম ধাপে বন্দরে মূল অবকাঠামো নির্মাণ হবে। এর মধ্যে রয়েছে বন্দরের দুটি জেটি, সংযোগ সড়ক নির্মাণসহ নানা অবকাঠামো। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা এবং নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী ২০২৯ সালের মধ্যে প্রথম ধাপের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

কক্সবাজার মহেশখালীর মাতারবাড়ী পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রজেক্ট থেকে চুরি হওয়া প্রায় এক কোটি টাকার মালামাল উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। বুধবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কক্সবাজারের মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানি করা একটি চালানে নিম্নমানের কয়লা (মাটিমিশ্রিত) পাওয়া গেছে। তাই জাহাজটি ফিরিয়ে দিয়েছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (সিপিজিসিবিএল)। 

কক্সবাজারের মহেশখালী মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরে চাঁদা না দেওয়ায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ লুট ও নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নৌপরিবহন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আরাকানে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে নাফ নদী হয়ে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ।

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ নিয়ে ভূরাজনীতি রয়েছে। এ রাজনীতির তাৎপর্যও আছে।

মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকাজে আরও দেড় শতাধিক কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কক্সবাজারের মহেশখালীর এ প্রকল্পের বিভিন্ন স্থাপনা ও রাস্তা নির্মাণ এবং যন্ত্রপাতি ক্রয়-সংক্রান্ত ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে এ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।