মা দিবস

মা দিবস উপলক্ষে দেশের গাইনকলজিস্ট মায়েদের সম্মানে অনুষ্ঠিত হলো ব্যতিক্রমধর্মী এক শ্রদ্ধা ও আনন্দঘন আয়োজন ‘ডি-জেস্ট প্রেজেন্টস রত্নধারিনী। রোববার দুপুরে রাজধানীর অভিজাত ঢাকা ক্লাব-এর স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

২০০৭ সালের ১৪ এপ্রিল আমার মা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চিরবিদায় নিলে আমার কাছে পৃথিবী বিবর্ণ হয়ে যায়। জীবন বিস্বাদ, বর্ণ ও গন্ধহীন হয়ে ওঠে। বর্তমানে আমি একজন প্রাণহীন মানুষ, শুধু নামেমাত্র বেঁচে আছি। আজ আমার কাজের ভালো-মন্দ তারিফ করার মতো কেউ নেই। আমার ত্রুটিবিচ্যুতি ধরিয়ে দেওয়ার মতো কেউ নেই। আজ আমি বড় একা– এতিম ও অসহায়। আজ আমি নিঃস্ব ও রিক্ত। আমি কেঁদে কেঁদে ফিরি আর বলি, ‘মায়ের মতো আপন কেহ নাই/ মা জননী নাইরে যাহার/ ত্রিভুবনে তাহার কেহই নাই।’

আজ মা দিবস। মাকে নিয়ে দিনটি অনেকে অনেকভাবে উৎযাপন করছেন। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের মায়ের ছবির সঙ্গে দিয়েছেন আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন শোবজ তারকারা।

তুমি কষ্ট পেয়েছিলে কিনা জানি না, এরপর দেখলাম তুমি সেই দুর্বল শরীর নিয়ে আমার জন্য পায়েস রান্না করলে। যদিও ঠিকঠাক হয়নি– চাল আধা সেদ্ধ ছিল, দুধও জমেনি ভালো করে– তবুও সেই পায়েসই আজ সবচেয়ে প্রিয় মনে হয়।

আমার সাফল্যে তোমার চেয়ে কেউ বেশি খুশি হতো না। তুমি থাকতে সব সময় ছায়ার মতো। আগলে রাখতে। সেই তুমি আমার জীবন থেকে সরে গেলে।

ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি নারীর পূর্ণতা তাঁর মাতৃত্বে। অর্থাৎ, সন্তান জন্ম দিতে না পারলে তাঁর নারীসত্তা অপূর্ণ। সম্ভবত, সভ্যতা কিংবা ভদ্রতার খাতিরে ‘অপূর্ণ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের সামাজিক বাস্তবতায় মা হতে অপারগ নারীকে যে করুণ এবং কখনো কখনো নিষ্ঠুর জীবনচিত্র দেখতে হয়, তা কখনোই ‘অপূর্ণতার’ বেলায় হওয়ার কথা নয়।

আজ বিশ্ব মা দিবস। বিশ্বের প্রতি মায়ের জন্য শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা আর ভালবাসা প্রকাশের দিন আজ। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার মা দিবস পালন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে সূচনা হলেও বর্তমানে বাংলাদেশসহ প্রায় সারা বিশ্বেই দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মা দিবস উপলক্ষ্যে সব মায়েদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আমার মায়ের পক্ষে রাজনীতিতে আগ্রহী হওয়ার কথা ছিল না। তিনি হনও-নি, কিন্তু বিদ্যমান রাজনীতির ঝাপটা তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে বৈকি, বৃক্ষ যেমন সহ্য করে ঝড়কে। রাষ্ট্রের উত্থান-পতন দেখেছেন, টের পেয়েছেন, উদ্বাস্তু হয়েছেন বারবার, মুখোমুখি হয়েছেন দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির।

আমরা অনেক ভাইবোন। দশ বোন, এক ভাই ছিলাম। বড়রা ছোটজনকে দেখাশোনা করতাম। আমি তিন নম্বর, ভাই সবার ছোট। আমার জন্ম ১৯৫৩ সালে। আজকাল ছেলেমেয়েরা যেভাবে মা-বাবার সংশ্রব পায়, আমাদের সময় এমনটা ছিল না।